জুটি বিতর্কে বসন্তকে স্বাগত জানালো বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি

বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির যুগল বিতর্ক
বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির যুগল বিতর্ক  © টিডিসি ফটো

ফাল্গুনের আগমন উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী যুগল বিতর্ক আয়োজন করেছে বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের একুশে ফেব্রুয়ারি লাইব্রেরির সামনে এ বিতর্ক আয়োজন করা হয়।

বিতর্ক অনুষ্ঠানে ১০ জন বিতার্কিক নিজেদের মোট ৫ টি দশকের জুটি হিসেবে উপস্থাপন করে যুক্তির মাধ্যমে নিজেদের সেরা প্রমাণের চেষ্টা করেন। এদের মধ্যে ৫০ এর দশকের জুটি হিসেবে ছিলেন অনিক চৌধুরী তপু এবং সাদিয়া আফরিন। তারা অপু এবং অপর্ণা রূপে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরেন।

৭০ এর দশকের জুটি হিসেবে ছিলেন মনিরুল ইসলাম উজ্জ্বল এবং নুসরাত জাহান। জহির রায়হানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রের মালেক এবং হাসিনা হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেন তারা।

৯০ এর দশকের জুটি হিসেবে ছিলেন মোঃ রিফাত এবং আমেনা আঁখি। ৯০ এর দশকের জনপ্রিয় নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ এর বাকের ভাই এবং মুনা হিসেবে নিজেদের যুক্তিসমূহ তুলে ধরেন তারা।

১৯ শতকের জুটি হিসেবে ছিলেন নাহিদুল ইসলাম এবং নওরীন জাহান প্রমী। কেন বহু আলোচনা-সমালোচনা উপেক্ষা করেও ১৯ শতকের জুটিই সেরা তা প্রমাণের চেষ্টা করেন এই জুটি।

২১ শতকের জুটি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এম. আর. মুগ্ধ এবং নিসাত জাহান নিসা। সভ্যতা এবং সংস্কৃতির বিবর্তনের চরম শিখরে পৃথিবী পৌঁছেও কেন ২১ শতকের জুটি সেরা তাই তুলে ধরেন এই জুটি।

ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে বিচারক হিসেবে ছিলেন ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মুকুল আহমেদ রনি এবং সদস্য আনিকা খান চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান, বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া সুলতানা মুক্তা ও বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অফ লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব সোহানা সুলতানা। এছাড়া শ্রোতা হিসেবে ছিলেন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

আয়োজনের বিষয়ে জুটি বিতর্কের কনভেনার শেখ মোঃ রিফাত বলেন, ‘যুগের সাথে ভালোবাসা প্রকাশের ধরনে পরিবর্তন আসলেও প্রেম আজীবন ছিলো স্বর্গীয় ও শাশ্বত। বাঙালির কাছে বসন্ত এবং ভালোবাসা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একারণে বসন্তের শুরুর দিনে এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন যুগের ভালোবাসার মাহাত্ম্য যুক্তির সাহায্যে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।’

ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শেখ মুকুল আহমেদ রনি বলেন, প্রথমবারের মত ক্যাম্পাসে ভিন্ন ধারার বিতর্কের আয়োজনে দর্শকদের ব্যাপক সাড়া পেয়ে আমরা আনন্দিত ও অভিভূত। দর্শকদের এই সাড়া ভবিষ্যতে আমাদের আরও ভালো কিছুর করার প্রেরণা দিবে।


সর্বশেষ সংবাদ