যেসব কারণে বুশরাকে আসামি করেছেন ফারদিনের বাবা

পুলিশের হেফাজতে বুশরা
পুলিশের হেফাজতে বুশরা   © সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর (পরশ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার এজহারে তাঁর ছেলের নিখোঁজ হওয়া ও মৃত্যুতে বান্ধবী আয়াতুল্লাহ্ বুশরার ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

বান্ধবী বুশরাকে আসামি করার পেছনে তিনটি উল্লেখযোগ্য কারণের কথা বলেছেন ফারদিনের বাবা। তাই এজাহারে বুশরার নাম উল্লেখ করে আসামি করেছেন।

তিনটি কারণে বুশরাকে সন্দেহ করছেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দীন রানা। তিনি বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমার ছেলে বুশরার সঙ্গে ছিল। বুশরাকে সে তার মেসে পৌঁছে দিয়েছে। এর এক ঘণ্টা পর আমার ছেলে নিখোঁজ, তারপর লাশ হলো। তার মানিব্যাগ, হাতঘড়ি, মোবাইল সব আছে, তার মানে এটা ছিনতাইকারীর কোনো ঘটনা না। প্রথমত সে জন্য আমি বুশরাকে সন্দেহ করেছি। তাদের বন্ধুত্ব বা প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে কোনো ঝামেলা চলছিল। প্রতিহিংসা–পরায়ণ হয়ে বুশরা কাউকে দিয়ে খুন করিয়েছে।’ 

আরও পড়ুন: রামপুরায় ঢুকতে দেখা গেছে, বের হতে দেখা যায়নি ফারদিনকে

দ্বিতীয় কারণ সম্পর্কে ফারদিনের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে বুশরার সঙ্গে প্রায়ই হয়তো রামপুরা যেত। স্থানীয় বখাটে কেউ হয়তো বুশরাকে পছন্দ করত বা বুশরার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তারাও এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে পারে।’ 

নূর উদ্দীন আরও বলেন, ‘তাকে (বুশরা) রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করল, তখনো সে স্বাভাবিক। বন্ধুকে হারানোর কোনো অভিব্যক্তি তার মুখে ছিল না। ৭ নভেম্বর তার লাশ উদ্ধার হলো, তারপরও তার মধ্যে কোনো দুঃখবোধ দেখিনি। সে ডিবি হেফাজতে বসে বই পড়েছে, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। এত কাছের বন্ধু, তার এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে বুশরা ছিল স্বাভাবিক। তার আচার আচরণ সন্দেহজনক। তাই তাকে আসামি করেছি।’

বুশরাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের নির্দেশে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে বুশরার পরিবার জানিয়েছে, তিনি কোনোভাবেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। 


সর্বশেষ সংবাদ