বিএনপি নেতাকে স্কুল কমিটির ১ নম্বরে না রাখায় বোর্ড চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ  © সংগৃহীত

বরিশাল নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারকে বিদ্যালয় কমিটির ১ নম্বরে না রাখায় শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেছেন ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের অর্ধশত নেতা-কর্মী। আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তাঁর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকায় ‘এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের’ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এক ঘণ্টার বেশি সময় বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে নেতা-কর্মীরা সরে পড়েন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অর্ধশতাধিক যুবক বোর্ড চেয়ারম্যানকে প্রায় ১ ঘণ্টা তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করেন। জিয়া সিকদারের নাম প্রস্তাবিত তালিকায় কেনো ২ নম্বরে তার কৈফিয়ত জানতে চান উত্তেজিত যুবকেরা এবং তাকে অ্যাডহক কমিটির সভাপতি করার জন্য চেয়ারম্যানকে হুমকি দেন।

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির প্যানেলে ২ নম্বরে রাখা হয়েছে বিএনপি নেতা জিয়াকে। একদল কর্মী এসে জানতে চেয়েছেন, কেনো জিয়া ভাইয়ের নাম ২ নম্বরে গেল। 

ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাই। জিয়া ভাইয়ের কমিটি নিয়ে কোনো কিছু না। তবে জিয়া ভাইয়ের একটি কমিটি আছে। আমরা বলছি যে সম্ভব হলে জিয়া ভাইয়ের স্কুলের কমিটির বিষয়টা দেখবেন।’

বোর্ডের সহকারী সচিব এবং কর্মচারী সংঘের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ওয়াহেদ বিদ্যালয়ের যে কমিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে যার নাম ১ নম্বরে রাখা হয়েছে, তিনি ফ্যাসিস্ট। এ জন্য ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা গিয়ে বলেছেন যে ফ্যাসিস্ট কাউকে রাখা যাবে না। জিয়া ভাইকে রাখতে হবে।’ তিনি দাবি করেন, অবরুদ্ধ নয়; অনেক মানুষ ছিল, তাই এমন মনে হয়েছে।

এ ব্যাপারে নগর বিএনপির সদস্যসচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘বোর্ড চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ করছে নাকি? আমি তো ঢাকায় আছি। চেয়ারম্যান যদি নাম না বলে, তাহলে আমাদের কী করার।’ 


সর্বশেষ সংবাদ