জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদানে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার নিচে বাংলাদেশ

  © সংগৃহীত

বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে মোটামুটি প্রতি বছরই ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ছিল। যদিও করোনার বছর তা অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরের বছর তা কমে যায়। তবে আর্থিক পরিমাণ যা-ই হোক, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পাঁচ শতাংশের আশপাশেই ছিল। নগদ প্রণোদনা দিয়েও তা খুব একটা বাড়ানো যায়নি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। বাংলোদেশের অবস্থান চতুর্থ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত জুন-২০২৩ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারত। ২০২২ সালে ভারতের প্রবাসী আয় ১১১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার; যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ভারতের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৬ নম্বরে। বিশ্ব ব্যাংকের জুনের প্রতিবেদন সূত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব তথ্য দিয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ে ভারতের পরই পাকিস্তানের অবস্থান। ২০২২ সালে পাকিস্তান রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৯ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এই অংক বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, এছাড়া দেশটির জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। 

প্রবাসী আয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স থেকে বাংলাদেশের আয় করেছে ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসীদের এই আয় বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশটির মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। বাংলাদেশের জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ।  

দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে অন্য দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে নেপাল। দেশটি প্রবাসী আয় ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১ দশমিক ১১ শতাংশ। দেশটির প্রাবসী আয় তাদের মোট জিডিপির ২৩ দশমিক ১ শতাংশ। জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দেশটি।


সর্বশেষ সংবাদ