ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে সংকটে ব্যবসায়ীরা, যেসব দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪ AM , আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪ AM

আকাশপথে বাংলাদেশের পণ্য বহনে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করায় নতুন সংকটে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই অভ্যন্তরীণ কার্গো সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
এ ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে সেকেন্ড কার্গো সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া ধীরে ধীরে ঢাকার বাইরে অন্য বিমানবন্দরগুলোতে এই সেবা চান তারা।
মূলত বাংলাদেশ থেকে সাগরপথে সব ধরনের পণ্য রপ্তানির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর। কিন্তু গার্মেন্টস পণ্য নির্দিষ্ট সময়ে উৎপাদন করতে না পারাসহ নানা জটিলতায় নির্ভর করতে হয় আকাশপথে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিমান কার্গোর একমাত্র ভরসা ঢাকা বিমানবন্দর।
তবে এখানে কার্গো সুবিধা কম থাকায় গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া ও চার্জ। এমন অবস্থায় কম খরচে পণ্য রপ্তানির সুযোগ নিতে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকার বাইরেও দ্রুত কার্গো সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারতের দিল্লি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টন গার্মেন্টস পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ২০২৪ সালে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ হাজার টন।
মোটেক্স ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ কবীর বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমস একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তাই যেকেনো একটি কাস্টমসের অনুমতিতেই পণ্য ফ্লাই হওয়ার সুযোগ দিতে পারে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে ঢাকার বাইরে অন্য বিমানবন্দরগুলোতেও দ্রুত কার্গো সার্ভিস চালু করা যেতে পারে।
সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, কার্গো সার্ভিসের অবকাঠামো ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আন্তর্জাতিক অনুমোদন রাতারাতি সম্ভব নয়। তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কার্গো সার্ভিসের পরিকল্পনা রয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে যাতে কার্গো সার্ভিস চালু করা যায়, এ জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এরই মধ্যে ইয়াং ওয়ান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিনিয়োগ করে এখানে কার্গো অপারেশনে যেতে আগ্রহী। তাদের প্রস্তাব পেলে মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করে অনুমতি দিলে শিগগিরই কাজ শুরু হবে।