মার্চের বেতন তুলছেন মাদ্রাসা শিক্ষকরা, এখনও ফেব্রুয়ারির বেতন মেলেনি স্কুল-কলেজে

লোগো
লোগো  © ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চের বেতন-বোনাসের অর্থ ছাড় করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তারা ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতার অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের যেন খুশীর অন্ত নেই। তবে ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের। তারা এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনই পাননি। অনেক শিক্ষক-কর্মচারী জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি। ফলে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমা হয়েছে তাদের আকাশে।

জানা গেছে, স্কুল-কলেজের ৩ লাখ ৬৪ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের জিও জারি হয়েছে। তবে আইবাস ডাবল প্লাস সফটওয়্যারে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে এখনো ব্যাংকে টাকা পাঠানো সম্ভব হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা রয়েছে। তবে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঈদের আগে বেতন-বোনাসের অর্থ তুলতে পারা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে মাদ্রাসায় কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা চলতি মাসে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন উত্তোলন করেছেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার মার্চের বেতন ও উৎসব ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মার্চ মাসের বেতনও পেয়েছেন। বেসরকারি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের মার্চের বেতন ছাড় হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের অবহেলায় স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা বেতন ভাতা পাচ্ছেন না। এর দায় সরকার কোনো ভাবেই এড়িয়ে যেতে পারে না।

বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রভাষক মো. সান্ত আলী বলেন, ‘কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন বোনাস প্রদানে মাউশি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবেহলা আমাদেরকে চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বিভিন্ন বিষয়ে সবসময় মাউশি গা-ছাড়া ভাব দেখিয়ে এসেছে। শিক্ষকরা যদি সরকারের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে তাহলে সরকারের ঘোষণা সত্ত্বেও ২৩ তারিখের মধ্যে বেতন বোনাস দেয়া হলো না কেন? শিক্ষকের ঈদ আনন্দ ইতোমধ্যে ম্লান হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও পরিবারের কাছে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না। এভাবে আসলে আর চলতে দেয়া যায় না। তরুণ শিক্ষকরা এই বৈষম্য ও অবহেলা সহ্য করবে না। যদি আগামীকাল পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বেতন বোনাস শিক্ষকদের একাউন্টে প্রেরণ না করা হয়, তাহলে লাখো এমপিও শিক্ষকরা আর বসে থাকবে না। কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচির মাধ্যমে ন্যায্য হিস্যা আদায় করবে। প্রয়োজন হলে মাউশি ঘেরাও কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকবে।’

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন অনলাইনে দেওয়া খুব সহজ বিষয় না। অনেকের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তবুও মানবিক বিবেচনায় তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে। নতুন একটি বিষয় বাস্তবায়ন করতে নানা সমস্যা হয়। সব সমস্যা সমাধান করে বেতন দেওয়ার কাজ চলছে। আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদনও দিয়েছে। বাকি কাজ অর্থ মন্ত্রণালয় এবং ব্যাংকের। তাদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা বক্তব্য দিতে পারি না। কবে ব্যাংকে টাকা পাঠানো হবে সেটি চিফ অ্যাকাউন্টস অফিস ভালো বলতে পারবে’।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence