ফেব্রুয়ারির বেতন ও উৎসব ভাতা আলাদা আলাদা, সময় জানালেন মাউশি ডিজি

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান ও মাউশি লোগো
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান ও মাউশি লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও উৎসব ভাতা আলাদা আলাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের বেতন-ভাতা দেওয়ার বিষয়ে একটি রূপরেখা তৈরি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল। রূপরেখা অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেওয়া হতে পারে।

জানতে চাইলে মাউশি ডিজি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘শিক্ষক-কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন চলতি সপ্তাহে দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে ইএমআইএস সেল থেকে আমাকে একটি লিখিত ফরম্যাট দেওয়া হয়েছে। ১ম-১৫ম ধাপের বেতন চলতি সপ্তাহে ছাড় করা হতে পারে। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তারা বেতন পেতে পারেন।’

আরও পড়ুন: শিক্ষকদের উৎসব ভাতা বাড়ানো নিয়ে যা বললেন মাউশি ডিজি

বেতন চলতি সপ্তাহে হলে শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতা কবে নাগাদ ছাড় করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে বেতন ছাড় করতে পারলে আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসব ভাতাও ব্যাংকে পাঠানো হবে। খুব সম্ভবত ২২ মার্চের পর তারা উৎসব ভাতা পাবেন।’ 

বেসরকারি শিক্ষকরা ৩ হাজার ১২৫ টাকা উৎসব ভাতা পান। এই অর্থ দিয়ে তারা কার জন্য কেনাকাটা করবেন? শতভাগ উৎসব ভাতার দাবি আপনি সমর্থন করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকরা উৎসব ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে আন্দোলন করেছেন। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার ভাতা বৃদ্ধির কথা বলেছে। এখন কতটাকা বাড়াবে সেটি সরকার ভালো বলতে পারবে। তবে শিক্ষকদের ভাতা বাড়ানো উচিত।’

আরও পড়ুন: ‘ঈদ বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য অভিশাপ’

জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো।

ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বেতন-ভাতা ছাড়ের জন্য কয়েক পর্যায়ে অনুমোদনসহ সংশ্লিষ্ট কাজে অনেক ক্ষেত্রেই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পেতে দেরি হয়। অনেক সময় পরের মাসের ১০ তারিখের পরও আগের মাসের বেতন-ভাতা জোটে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারীকে ডিসেম্বর মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা জানুয়ারি মাসের বেতনও পেয়েছেন। তবে তাদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন এখনও হয়নি।

অন্যদিকে ৫ম ধাপে ৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া ৩ হাজারের কিছু বেশি শিক্ষক-কর্মচারী এখনো ডিসেম্বর মাসের বেতন পান নি। চলতি সপ্তাহে তারাও বেতন-ভাতা পেতে পারেন বলে জানা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ