২ বছরের মেয়ে রেখে সাবেক প্রেমিকের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী, জিডি

প্রেমিক শামসু
প্রেমিক শামসু  © টিডিসি ফটো

স্বামীর স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে আরেক প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন এক নারী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাইক্রোবাস চালক স্বামী আব্রাহাম সুমন আদালতে একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত সুমনের স্ত্রীর নাম ফারহানা আক্তার শাওন। সুমন-শাওন দম্পতির দুই বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সন্তান রেখে শাওন তার স্বামী সুমনের স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে সাবেক প্রেমিক শামসুর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। সুমনের সঙ্গে শাওনের বিয়ের পূর্বে শামসুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সদর উপজেলার টুমচর গ্রামের ছেলে মাইক্রোবাস চালক আব্রাহাম সুমনের সাথে পাশ্ববর্তী শাকচর গ্রামের মেয়ে ফারহানা আক্তার শাওনের বিয়ে হয়। সম্পর্কে তারা ফুফাতো-মামাতো ভাই-বোন। বিয়ের সময়েও শাওনের সাথে একই এলাকার শামসুর প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতেন সুমন। তবে শাওন সুমনের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হওয়ায় এবং প্রেমের সম্পর্ক ভুলে যাবেন বলে জানালে তাদের বিয়ে হয়।

আরও পড়ুন: স্ত্রী-সন্তান রেখে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে পালালেন শিক্ষক

সুমন বলেন, ‘সাংসারিক জীবন ভালোই যাচ্ছিল। শাওনের (স্ত্রী) জন্য অর্থ খরচ করতে আমি কখনও কার্পণ্য করিনি। তার জন্য সব করেছি। স্বর্ণালংকার, পোশাক, প্রসাধনি কি করি নাই! সব করেছি, সব।’

এদিকে, সুমনের জিডির পর থানা পুলিশ ফারহানা আক্তার শাওনকে তলব করে। শাওন আদালতে এসে লিখিত জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে শাওন উল্লেখ করেন, আমার চার বছরের সাংসারিক জীবনে সুমনের কাছ থেকে কোন ভালোবাসা পাইনি। শামসু আমাকে অনেক ভালোবাসা তাই তার সাথে চলে এসেছি। আমি শামসুর কাছেই থাকবো, সুমনের কাছে আর যেতে চাই না।

জিডির বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বশির দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তাদের স্বামী-স্ত্রীর ব্যাপারটি আমরা আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিয়েছি। আমি ওই (শাওন) মেয়ের পিতাকে পরামর্শ দিয়েছি, এ মেয়ের সাথে আপনি আর সম্পর্ক না রাখলেই ভালো হয়। সে যেভাবে সুখে থাকতে চায় তাকে সেভাবে থাকতে দিন।


সর্বশেষ সংবাদ