ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণ

সংবাদ সম্মেলন ও অভিযুক্ত শিক্ষক
সংবাদ সম্মেলন ও অভিযুক্ত শিক্ষক  © সংগৃহীত

রাজশাহীর মোহনপুরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে এক ছাত্রীকে তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রী উপজেলার বাটুপাড়া কারিগরি ও বাণিজ্যিক ইনস্টিটিউটের ‘ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং’ বিষয়ে পড়ালেখা করেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার অভিভাবকরা।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মাসুদ সরকারের (৪৭)। ‘ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং’ কোর্সের প্রশিক্ষক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ২০১৯ জানুয়ারিতে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ওই প্রতিষ্ঠানের ‘ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং’ ট্রেড এর শিক্ষক মাসুদের যৌন লালশার শিকার হয়ে তার জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি, আটক ঢাবি শিক্ষার্থীদের নিয়ে যা বলছে কর্তৃপক্ষ

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘শিক্ষক মাসুদের বাড়ির পাশেই তার বাবার বাড়ি। তাই আমার পরিবারের সঙ্গে মাসুদের সখ্যতা পুরনো। আমি সেখানে ভর্তি হওয়ার পর শিক্ষক মাসুদ প্রায়ই বাড়িতে আসতো। ২০১৯ সালের ১০ মে বেলা অনুমানিক আড়াইটার দিকে আমাকে নোট দিবেন বলে মোবাইলে কল দিয়ে তার বাসায় আসতে বলেন। শিক্ষক চাচার ফোন কল পেয়ে আমি তার বাড়িতে যাই। তিনি বাড়ির বাহিরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমাকে দেখে বলেন, দোতলায় তার শোবার ঘরে নোটগুলি রাখা আছে। আমি সরল বিশ্বাসে নোট আনতে দোতলায় শোবার ঘরে গেলে তিনি আমাকে ধর্ষণ করে। তার শোবার ঘরে আগে থেকে ফিট করে রাখা ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারন করে। 

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রী আরও বলেন, এরপর থেকে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নানা জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণের ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মাসুদ সরকারকে ফোন দিলে অভিযোগ অস্বীকার করে ফোন কেটে দেয়। এরপর একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একদিন ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দিতে থানায় এসেছিল। এসে যৌন নির্যাতনের তিন বছরের ইতিহাস তুলে ধরে। ন্যায়বিচার নিশ্চিতের জন্য তাকে আদালতে মামলা করতে বলেছি।’


সর্বশেষ সংবাদ