ঢাবির প্রশ্নফাঁসে জড়িত সেই দুদক কর্মকর্তার জামিন মেলেনি

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ব্যবহৃত আটটি মোবাইলসদৃশ ঘড়ি ও একটি চার্জার জব্দ করা হয়
ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ব্যবহৃত আটটি মোবাইলসদৃশ ঘড়ি ও একটি চার্জার জব্দ করা হয়  © প্রতীকী ছবি

বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক সহকারী পরিদর্শক মুহাম্মদ মফিজুর রহমানকে মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে পিটিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এসএম মাসুদ হোসেম দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ডিবি পুলিশ মফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ব্যবহৃত আটটি মোবাইলসদৃশ ঘড়ি ও একটি চার্জার জব্দ করা হয়। গ্রেফতারের পরদিন পুলিশ তার বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করে।

২০১২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমতে ‘অসদাচরণ’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগে মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা করে কমিশন।

২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি মফিজুর রহমান কমিশনে তার জবাব দাখিল করেন। কিন্তু জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় বিভাগীয় মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কমিশনের একজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তে মফিজুরের বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ’ ও ‘প্রতারণার’ অভিযোগ প্রমাণিত হয় বলে তদন্ত কর্মকর্তা তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।

মফিজুর রহমানের লিখিত জবাব এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি শেষে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ