ছয় মাসে ৬৯৭ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার, ১৮১ জনকে নির্যাতন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২১, ১০:৫০ AM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২১, ১০:৫০ AM
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৯৭ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে শিশু ৪৩১ জন। এছাড়া শুধু জুলাই মাসে ১০৮ নারী এবং ৭৩ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
বুধবার সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংস্থার লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ছয় মাসে ৪১ কন্যাশিশুসহ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১০৪ নারী-শিশু। ১২ শিশুসহ ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১৬ জন। ৩৪ শিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৪৬ জন। ১২ শিশুসহ উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে ২২ জন। ২৯ শিশুসহ শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯৯ জন। ৬২ শিশুসহ হত্যার শিকার হয়েছে ২২১ নারী ও শিশু। ২২ কন্যাশিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
জুলাই মাসে নারী ও কন্যাশিশুর ওপর নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, এ মাসে মোট ১৮১ নারী ও শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন। তাদের মধ্যে ২৮ শিশু ধর্ষণের শিকার, পাঁচজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, দু’জন ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ও ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যার শিকার হয়েছে একজন।
এছাড়া চার শিশুসহ ৯ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। একজন শ্নীলতাহানির শিকার হয়েছে। এক শিশুসহ পাঁচজন যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। অ্যাসিড দগ্ধের শিকার হয়েছে দু'জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে একজন। উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে এক শিশু। উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে একজন। পাঁচ শিশুসহ ছয়জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে সাতটি। বিভিন্ন কারণে পাঁচ শিশুসহ ২৮ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, দু’জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৯ জন, তাদের মধ্যে দু’জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাত শিশুসহ মোট ১৩ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করেছে তিন শিশুসহ ১০ জন। পাঁচ কন্যাশিশুসহ ১৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বাল্যবিয়ে-সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে দুটি। বাল্যবিয়ের চেষ্টা করা হয়েছে একটি। এক কন্যাশিশুসহ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে ছয়জন।