বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, করোনাকালেই খুন অর্ধ শতাধিক

প্রায়ই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’
প্রায়ই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’  © প্রতীকী ছবি

দেশজুড়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’। করোনাকালে তা আরও ভয়াবহভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাড়া-মহল্লায় বেড়েছে আড্ডাবাজি, সেইসাথে ক্ষমতার দাপট প্রকাশ ও নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নামে গড়ে উঠছে ‘গ্যাং গ্রুপ’।

সন্ধ্যা নামলেই পাড়া-মহল্লায়, অলিতে-গলিতে বিচরণ বাড়ে এসব গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় বেশ সক্রিয় এসব ‘গ্যাং গ্রুপ’।

বর্তমানে মাদক ব্যবসা , চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, যৌন নির্যাতন, ইভটিজিংসহ ,নানান অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে এসব গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। এসব কিশোর গ্যাংয়ের পাশাপাশি নয়া আতংক এখন ‘লেডিগ্যাং’।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে কিশোরীকে মারধরের ঘটনায় ‘লেডি কিশোর গ্যাং লিডার’ তাহমিনা সিমি ওরফে ডন সিমির অপকর্মে আলোচনার সরব ‘লেডি গ্যাং’। তাছাড়া প্রায়ই বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’।

তুচ্ছ কারণ, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যেকার সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব,এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, এক এলাকার ছেলে অন্য এলাকায় প্রবেশ, যথাযথ সম্মান না দেখানো, মাদক ও মেয়েলি বিষয় নিয়ে বিরোধসহ নানান কারণে খুন করতেও দ্বিধা করছে না এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর অপরাধ ও খুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা গ্রেফতার হলেও থামছে না গ্যাং দৌরাত্ম্য।

এক পরিসংখ্যান বিবেচনায়, গেল বছরও চলতি বছরে কেবল রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করে তিন শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। রাজধানীর বাইরেও বিভিন্ন জেলার প্রতিনিয়ত নানান অপকর্মের জেরে আটক হচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা৷ এসব গ্যাং গ্রুপের উৎপাতে প্রতিনিয়ত সমাজে একধরণের আতংক তৈরি হচ্ছে , সেইসাথে সৃষ্টি হচ্ছে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। শিশু-কিশোররা না বুঝে গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ায় অভিভাবকদের মাঝে চিন্তার ভাজ পড়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে নানা কারণে সারাদেশে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ২৬৪ কিশোর নিহত হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে খুন হয় ৭ থেকে ১২ বয়সী ১২৪ জন। এসব কিশোরদের অধিকাংশই ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব কিশোরের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের। শুধু তাই নয়, উচ্চ-মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীরাও এখন জড়িয়ে নামধারী বিভিন্ন গ্যাং গ্রুপে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সংবাদকর্মীদের তৈরি এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর থেকে সর্বশেষ ১ জুন পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধের জেরে অন্তত অর্ধশতাধিক খুন হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছর ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত খুন হয়েছেন ২০ জন।

সর্বশেষ গত ১ জুন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধের জের ধরে মহিউদ্দিন প্রবাল (১৭) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলেকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গেল বছর ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে চলতি বছর গত ১ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যানটি তৈরি করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত কিশোর বয়সে পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাবে অপরাধী হয়ে উঠছে অনেক তরুণ। নৈতিকতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ না থাকায় নিজের ভালো-মন্দ না বুঝে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে নানান অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। শুরুতে ছোটখাটো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কিশোররা।

এছাড়া প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমেও বর্তমানে অনেকে জড়িয়ে পড়ছে নানান অপকর্মে। এসব কিশোর-তরুণরা বিপথগামী হওয়ার পেছনে পরিবারের দায়বদ্ধতা অনেক বেশি। অধিকাংশ পরিবারের বাবা-মা জানেন না সন্তান কোথায় গিয়ে সময় কাটাচ্ছে, কার সাথে মিশছে, কী করে, তার কোনও খোঁজই নেন না। ফলে পরিবারের অজান্তেই বিভিন্ন অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে সন্তানরা। এক্ষেত্রে সন্তানের প্রতি পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ তৈরি এবং নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুললে কিশোর অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছেন তারা৷

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের একটি অনুসন্ধান বলছে, চলতি বছর ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত কিশোর গ্যাংয়ে বলি হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

চলতি বছর গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে চটপটি খাওয়ার সময় কথাকাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাতে সিফাত ভূঁইয়া নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর মুগদায় কিশোর গ্যাংয়ে বলি হয় কিশোর মেহেদি হাসান। গত ২২ জানুয়ারি নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলায় চৌমুহনী এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউটের সামনে বহুল আলোচিত হাসান হত্যা মামলার ৩নং আসামি কিশোর গ্যাং নেতা মাজহারুল ইসলাম তুর্জয়কে (২১) ছুরি দিয়ে হত্যা করেছে হতভাগ্য যুবকের বন্ধুরা।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সাভারে কিশোরগ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের পরিণামে রোহান নামের এক স্কুলছাত্র ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে।

গত ১২ ফেব্রুয়ারী রাজধানীর মুগদার মান্ডায় দুই কিশোর গ্যাংয়ের দ্বন্দ্বের জেরে এক কিশোর খুন হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসান (১৭) নামের ঐ কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা নগরীতে ক্রিকেট খেলার দ্বন্দ্বের জেরে মোহাম্মদ আমিন (১৫) নামে এক কিশোরকে বুকে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।

গত ৮ মার্চ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার পিরুজালী বকচরপাড়া গ্রামে বিপ্লব হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা৷ গত ১১ মার্চ চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এক্সেস রোডে ছুরিকাহত হয়ে মো. কাউসার (১৬) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে।

গত ২৯ মার্চ সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে শবে বরাতের রাতে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকায় দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে অনন্ত (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়। গত ১০ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রবিউল আউয়াল লিমন (১৬) নামে এক কিশোর খুন হয়েছেন।

গত ১১ এপ্রিল দুই টাকা নিয়ে সেবনের জন্য গাঁজা আনতে না পারায় সাতক্ষীরার শহরতলীর কাশেমপুরে ইজিবাইক চালক সালাউদ্দীন নামে এক কিশোর খুন হয়েছে।

গত ১৩ এপ্রিল গাজীপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে নূরে আলম শাকিল (১৭) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মো. ফরিদের বয়স আনুমানিক ১৬ বছর। গত ৮ মে চট্টগ্রামের হালিশহরে কথা কাটাকাটির জেরে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে সরোয়ার আলম জনি নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

গত ৯ মে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় ইফতারির দাওয়াত রক্ষা না করায় ক্ষোভে বান্ধবীসহ বন্ধুকে ডেকে নিয়ে শাকিল হোসেন নামের এক তরুণকে তারই বন্ধুরা কুপিয়ে হত্যা করেন।

গত ১৬ মে সাভারের রাজাশন এলাকার পুলুর মার্কেটের সামনে জয় হালদার নামে এক ছাত্রকে কুপিয়ে আহত করে কিশোর গ্যাং। প্রায় ২০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬ জুন জয় হালদার মৃত্যু হয়।

একইদিনে রাজধানীর পল্লবীতে আগাম ঘোষণা দিয়ে দিনদুপুরে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন।

গত ২৮ মে ঢাকার কদমতলী থানার শনিআখড়া এলাকায় বর্ণমালা স্কুলের গলিতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে খুন হয় ইয়াসিন আরাফাত সায়েম নামে (১৮) এক কিশোর। গত ২৯ মে ফুটপাতে বসা নিয়ে আখের রস ও তরমুজ বিক্রেতার মধ্যে বিরোধের জের ধরে মো. সেলিম (৫০) নামে তরমুজ বিক্রেতা খুন হয়েছেন।

সর্বশেষ গত ১ জুন কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধের জের ধরে মহিউদ্দিন প্রবাল (১৭) নামে এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলেকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এ প্রসঙ্গে স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক আসমা খাতুন বলেন, বর্তমান সমাজে বখাটে ছেলেপেলেদের উৎপাত চরমে উঠেছে, প্রতিনিয়ত আতংক বাড়াচ্ছে এসব ‘কিশোর গ্যাং’। এ ব্যপারে আমাদের অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে৷

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিউটি খানম বলেন, তথাকথিত রাজনৈতিক ‘বড় ভাইরা’ শিশু-কিশোরদের ফাঁদে ফেলছে।পাড়া-মহল্লায় এখন বিভিন্ন নামে গড়ে উঠছে 'গ্যাং গ্রুপ'। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অধিকাংশই জড়িয়ে পড়ছে এসব ‘গ্যাং গ্রুপে’। এসব গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের আচরিক পরিবর্তন দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।পড়াশোনায় অমনোযোগী এসব শিক্ষার্থী সারাদিন আড্ডাবাজি করেই দিন পার করে।আমাদের সব অভিভাবকদের উচিত সন্তানের খোঁজ খবর রাখা৷ সন্তান যেন অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে৷

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও সমাজবিজ্ঞানী ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,প্রত্যেকটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কিন্তু এলাকায় প্রভাবশালী রাজনৈতিক মদদপুষ্ট। এসব রাজনৈতিক নেতাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড হাসিলের উদ্দেশ্যে কিছু গ্রুপ দরকার হয়। কিশোর গ্যাংয়ের একটা প্রধান অংশ হচ্ছে সেই গ্রুপের ক্যারিয়ার।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলে গড়ে উঠেছে এসব তথাকথিত ‘গ্যাং গ্রুপ’।এসব গ্যাং গ্রুপে মূলত নিম্ন-মধ্যবিত্ত কিংবা বস্তি এলাকা থেকে উঠে আসা অর্থাৎ যেখানে কোনো লেখাপড়া থাকে না, অভাব-অনটন, বাবা-মা কাজে ব্যস্ত, ছোটবেলা থেকেই সন্তান যদি এমন পরিবেশে বেড়ে ওঠে তখন তারমধ্য আর নৈতিক মূল্যবোধ থাকে না৷নিজের ভালো-মন্দ না বুঝতে না পেরে পরিবেশের নেতিবাচক প্রভাব কিশোর- তরুণরা অপরাধী হয়ে উঠছে৷

তিনি আরও বলেন, ‘কিশোর গ্যাং’ রুখতে কাউকে দায়ী না করে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পরিবার ও সমাজ৷ বাস্তবে অনেক অভিভাবক মনে করতে পারেন, আমার সন্তান তো ভালো আছে কিন্তু কাল যে সন্তান নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে না তার নিশ্চয়তা নেই।এক্ষেত্রে ব্যক্তি, সমাজ, পরিবারসহ রাষ্ট্রের সব নাগরিকের সতর্কতা ও সচেতনতা এবং শিশু-কিশোর সন্তানদের জীবন প্রক্রিয়ার গতিবিধি প্রতিনিয়ত নিগূঢ় তত্ত্বাবধান-পর্যবেক্ষণে রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নিবিড় ভালোবাসা, আদর, স্নেহ এবং তাদের দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তনশীলতা, পরিশীলিত-যৌক্তিক অনুষঙ্গ অনুসরণে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসই এ সমস্যার উত্তরণ ও পরিত্রাণের পথ উদ্ভাবনে সহায়ক হতে পারে বলে মনে করছি।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয়ংকর ভিডিও গেমস রয়েছে, মাদক সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং রয়েছে; বাবা-মায়েরা দেখবেন, এগুলোর সঙ্গে কিশোরা যেন না জড়ায়। বাবা-মা সব সময় দেখেন। করোনাকালীন এ সময়ে যেন একটু বেশি গুরুত্ব দেন।

কিশোর গ্যাং এর ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, এসব তরুণরা কিশোর বয়স থেকেই নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মেয়েদের উত্যক্ত করাসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করে।

তিনি আরও বলেন, নানা কারণে কিশোর গ্যাং গড়ে উঠছে। প্রথমে তুচ্ছ এবং পরে বড় অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িয়ে পড়ছে। গডফাদাররা তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।


সর্বশেষ সংবাদ