মেয়েকে গৃহ শিক্ষকের উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় বাবা খুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০৪:১৯ PM
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে গ্রেফতার কাজিপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম (৩০)।
কাজিপুর থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র পাল জানায় বুধবার রাতে কাজিপুর থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আমিনুলকে। এ সময় সে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত ও তার বাবাকে মারপিটের ঘটনা স্বীকার করে।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে ,আটক হওয়ার পর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র পাল জানান, ভুক্তভোগী মেয়ের চাচা বাদী হয়ে বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে কাজিপুর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে উত্ত্যক্তের ঘটনা ও আদার্স (অপর) সেকশনের ধারায় মামলা করেন। মামলায় পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামসহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত মিলে ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই আমিনুল ইসলামকে আটক করে কাজিপুর থানা পুলিশ।
এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য নিহত আব্দুর রউফ আবু সাঈদের (৪৫) লাশ বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গামাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।মারপিটের ঘটনায় ভিকটিমের বাম চোখের নিচে গুরতর জখমের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে।
কাজিপুর থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, মেয়েটি সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। উচ্চ মাধ্যমিক পড়ার সময় কাজিপুর উপজেলা সদরের আলমপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম মেয়েটির গৃহশিক্ষক ছিল। ওই গৃহ শিক্ষক প্রায়ই মেয়েটিকে কলেজ যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে এর আগেই বেশ কয়েকবার গৃহশিক্ষক আমিনুল ইসলামকে সতর্ক করেন মেয়েটির স্বজনরা। বুধবার দুপুরে মেয়েটি কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমিনুল ও তার কয়েকজন ছাত্র পথ আগলে তাকে হয়রানি করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা আবু সাঈদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ সময় আমিনুলের দলবল আবু সাঈদকে বেধড়ক পেটায় পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
মামলার অন্য আসামিদের ধরতে বুধবার রাতে দফায় দফায় অভিযান চালায় পুলিশ। তবে মামলাটি দেরি হওয়ার কারণে অভিযুক্তরা দ্রুত সরে পড়েছে বলে পুলিশ জানায় ।
কাজিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, ‘ঘটনাটি একবারেই নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জানার পর বুধরার রাতেই পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।’