শার্শায় পাঁচ দিনে তিন খুন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

যশোরের শার্শা উপজেলায় মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি পৃথক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে গেছে। এ সব ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতঙ্ক, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন লিটন (৩৫) নামের এক যুবক।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  নিহত লিটন উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আজগার আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির মোড়ে চায়ের দোকানের সামনে ঠেলাগাড়িতে শুয়ে ছিলেন লিটন। এ সময় প্রতিবেশী কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী তার মাথা ও শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে আহত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঘটনার পর নিহতের বাবা আজগার আলী বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন—মৃত কাশেম আলীর ছেলে আজগার আলী (৩২), শমসের আলী (৪৫), মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সামসুল হক (৫২) ও আব্দুল হক মিয়া (৫৫)।

এই হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন আগেই,  শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন পাশের ইউনিয়নে ককটেল হামলায় খুন হন আব্দুল হাই নামের এক ব্যক্তি। তারও আগে গত ৫ জুন খুন হন নাভারণ খাজুরা এলাকার বাসিন্দা নেহা সবুজ হোসেন। টানা তিনটি হত্যাকাণ্ডে সাধারণ মানুষ এখন আতঙ্কিত।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধ, মাদক ব্যবসা এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। এসব নিয়েই এলাকায় একের পর এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে চলেছে।

এ বিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান,রলিটন হত্যা মামলায় ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে, এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে মাদক কারবার এবং রাজনৈতিক বিরোধ থেকেই এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।  


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!