স্ত্রী-শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যার পর আগুন দিয়ে পালালেন স্বামী
- পিরোজপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৫, ১২:২৬ PM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০২:৫৫ PM

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছেন এক চা বিক্রেতা। সোমবার (০৫ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে খান বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী বিলকিস বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তিনি উপজেলার ধাওয়া গ্রামের মৃত আজিজ খানের ছেলে। ধাওয়া বাজারে তার একটি চায়ের দোকান আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল এর আগে তিনবার বিয়ে করেছেন। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তিনি স্ত্রী, শাশুড়ি এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার সৎ মা এবং নানিকে হত্যা করেছে বাবা।
আরও পড়ুন: শিক্ষক বাবাকে হত্যার দায়ে মায়ের ফাঁসির দাবি মেয়ের
এ খবর বলে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। চম্পার মামাতো বোন এবং প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় পান। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন তারা পানি দিয়ে অগুন নিভিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন।
কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেননি। হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর থেকে শিশু ইয়াসিনকেও পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে থানা ও ডিবি পুলিশ এবং সিআইডির একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ভান্ডারিয়া থানার ওসি আহমদ আনওয়ার বলেন, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। তিনি ২০ দিন আগে চতুর্থ বিয়ে করেন। এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।