রমেকে চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীদের অপকর্মের কমিশন নিচ্ছে ওয়ার্ড মাস্টার

ওয়ার্ড মাস্টার হাসান
ওয়ার্ড মাস্টার হাসান  © টিডিসি ফটো

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারীরা ডিউটি করলেই তার অপকর্মের কমিশন ভিত্তিক টাকা নেয় ওয়ার্ড মাস্টার হাসান। অভিযোগ উঠেছে ৪০টি ওয়ার্ড ও আউটডোরসহ অপারেশন ওটিতে মিলে প্রায় একশত কর্মচারী কাজ করেন বিনা বেতনে।

সচেতন মহলের প্রশ্ন, এসব বেতনহীন কর্মচারীরা বিলাস বহুল ভাবে জীবন যাপন করে কীভাবে, তাদের আয়ের উৎস কি।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এসব ওয়ার্ড মাস্টারের সাথে চুক্তি করা একেকজন কর্মচারী বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ওষুধ দোকানদারদের দালালি করে অসহায় রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে দৈনিক হাতিয়ে নেয় হাজার হাজার টাকা। সেই টাকা থেকে প্রত্যেকের কাছে কমিশন নেয় ওয়ার্ড মাস্টার হাসান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মচারী প্রতিবেদককে জানান, রমেক হাসপাতালে চুক্তি ভিত্তিকদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কর্মচারীরা হয়ে যায় বেকার। সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে ওয়ার্ড মাস্টার হাসান বনে যায় অঘোষিত ঠিকাদার। তিনি নিজের মনগড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লোকজন নিয়োগ দিয়ে দৈনন্দিন হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা।

তারা প্রতিবেদককে আরো বলেন, হাসান মাস্টারকে কমিশন না দিলেই ডিউটি বন্ধ করে অন্য কাউকে দেয় ডিউটি। শুধু তাই নয়, ওষুধ বণ্টনেও রয়েছে তার বড় ধরনের হাত। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ার্ড মাস্টার হাসান প্রতিবেদককে বলেন, আমি কোনো অনিয়মের সাথে যুক্ত নই, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।

এ বিষয়ে জানতে উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ছুটিতে থাকা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার আশিকুর রহমান এ সংক্রান্ত বিষয়ে মুঠো ফোনে জানান, কর্মস্থলে যোগদানের পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ