ঘুষি মেরে পুলিশ সদস্যের নাক ফাটানো সেই ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৫১ PM , আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫, ০২:৫১ PM

ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মেরে নাক ফাটিয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা শাওন ইসলাম সবুজকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় যশোর শহরের জেল রোড এলাকায় এ ঘটনার পরপরই রাত ৮টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাওন ইসলাম যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকার মো. শাহিনের ছেলে। আর ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কনস্টেবল এম শরিফুল ইসলাম।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কে এম শরিফুল ইসলাম শহরের জেল রোডে ল্যাব এইড হাসপাতালের সামনে ডিউটি করছিলেন। সেখানে রাস্তার ওপর মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন যশোর সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলাম। রাস্তায় যানজট তৈরি হলে তাকে মোটরসাইকেল সরাতে বলেন পুলিশ সদস্য শরিফুল ইসলাম। এসময় শাওন তার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। দুই জনের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে শাওন ঘুষি মেরে ট্রাফিক সদস্য শরিফুলের নাক ফাটিয়ে দেন। এসময় পথচারীরা জড়ো হয় তাকে রক্ষা করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক পুলিশ অফিস থেকে কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে শাওনকে আটক করে এবং তাকে কোতয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী ট্রাফিক সদস্য শরিফুল ইসলাম বলেন, বিকেলে হাসপাতাল মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এসময় শাওন নামে যুবক ও তার সহযোগী আরেকজনকে নিয়ে সড়কের বাম পাশে মোটরসাইকেলটি রাখে। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ওই যুবককে গাড়িটি সরানোর জন্য বলি। তখন শাওন নামে ওই যুবক ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলে, ‘তোর টিআই আমাকে গাড়ি সরাইতে বলতে পারে না, আর তুই গাড়ি সরাইতে বলিস। তোর এতো সাহস হয় কিভাবে।’ এরপর পুনরায় তাকে গাড়ি সরাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন আমাকে মারধর করে। পরে পথচারী ও অন্য সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, পুলিশ সদস্যকে আহত করায় শাওন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও মারপিটের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজেদুর রহমান সাগর বলেন, সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাওন ইসলাম সবুজের সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের বাগবিতণ্ডা হয়েছে শুনেছি। নাক ফাটানোর বিষয়টি জানি না। এই ঘটনায় আমরা বিব্রত। ব্যক্তির দায় তো সংগঠন নেবে না। তবে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে থাকলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।