জাল শিক্ষা সনদ নিয়ে বিমান চালিয়েছেন ১০ বছর! অভিযোগ বেবিচকের বিরুদ্ধে

বেবিচক লোগো
বেবিচক লোগো

পাইলট সাদিয়া আহমেদ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে জাল শিক্ষা সনদ নিয়ে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে চাকরি করেছেন ১০ বছর। গত বছর জুন মাসে বিষয়টি ধরা পড়ে এবং বিমানের ৭৭৭ উড়োজাহাজের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়াকে চাকরি থেকে সরাসরি বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় বেবিচক ১ বছর আগে তদন্ত কমিটি গঠন করলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে নি। 

এর আগে মেহেদী নামে বিমানের আরও একজন পাইলটকে বরখাস্ত করা হয়েছে জাল সনদ ব্যবহারের কারণে। এর আগে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে একজনকে পাইলট সনদ দেওয়ার সময় বেবিচকের এক কর্মকর্তাকে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় রেস্তোরাঁ থেকে আটক করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা। একের পর এক এমন ঘটনা ঘটায় বেবিচকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। 

বিমান কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষা সনদ নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে বিমানের চাকরি থেকে সরাসরি বরখাস্ত করা হয়েছে সাদিয়াকে। বিষয়টি তদন্তে বেবিচকের পক্ষ থেকে কমিটি গঠন করা হয়। তবে এক বছরের বেশি সময়েও বিষয়টির কূলকিনারা করতে পারেনি কমিটি। অনেকে বলছেন, আগে শাস্তি হওয়া দরকার যারা সাদিয়াকে পাইলটের সনদ দিয়েছেন তাদের। সঠিক তদন্ত হলে ধরা পড়বে বেবিচকের চক্রটি। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন বেবিচক কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, গত ১৫ অক্টোবর বেবিচকের তদন্ত কমিটির কাছে হাজির হওয়ার কথা ছিল সাদিয়ার। অসুস্থতার কারণে হাজির হতে পারেননি। এতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু একটি সূত্র জানায়, বিমান থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বিদেশে পালিয়ে গেছেন সাদিয়া। 

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান জানান, ফ্লাইং ক্লাবের প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ অনুযায়ী সাদিয়াকে পাইলট সনদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে স্কুল ও কলেজের শিক্ষা সনদ জাল করার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে তাঁর পাইলট সনদ বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগির প্রতিবেদন দাখিল করবে তদন্ত কমিটি। 


সর্বশেষ সংবাদ