জাবি কলেজছাত্রকে হত্যা করে গুম, একজন গ্রেপ্তার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ মে ২০২৩, ১১:৩১ AM , আপডেট: ২০ মে ২০২৩, ১১:৪২ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ফারাবি আহমেদ হৃদয় হৃদয়কে (২০) হত্যা ও গুমের ঘটনার আসামি শাহীন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার রামরায়পুর এলাকায় র্যাব- ৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা শাহীনকে গ্রেপ্তার করে।
শাহীন জেলার পোরশা উপজেলার ঘাটনগর মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। র্যাব জানায়, গত ৮ মে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র হৃদয় নিখোঁজ হলে তার বাবা ফজলুল মিয়া জিডি করেন। র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভার ক্যাম্পেও অভিযোগ দেন। এর ভিত্তিতে র্যাবের সাভারের গোয়েন্দা দল ময়েজ হোসেন ওরফে পরান (২২) ও মো. সুমন মিয়া ওরফে বাপ্পীকে গত ১৮ মে আটক করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে হৃদয়কে অপহরণের পর হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করে তারা। হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি শাহীনের জড়িত থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত করে। র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার শাহীনকে গ্রেপ্তার করে। পরে র্যাব-৪ সিপিসি-২ সাভারে হস্তান্তর করা হয়।
হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে। সে জাবি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। র্যাব জানায়, পরান ও হৃদয় একই এলাকার বাসিন্দা। তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। হৃদয়ের বাবা প্রভাবশালী ও স্বচ্ছল ব্যক্তি। পরান ও তার সহযোগী বাপ্পী, শাহীন ও আকাশ দীর্ঘদিন হৃদয়কে অপহরণ করে মোটা অংকের টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করছিল।
গত ৮ মে বিকেলে হৃদয়কে কৌশলে আকাশের বাসায় নিয়ে যায়। পরে তারা হৃদয়কে বেঁধে ব্যবহৃত তার বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ বাবদ ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না পেয়ে আসামিরা হৃদয়কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এরপর মরদেহ বস্তাবন্দি করে মোজারমেল এলাকায় পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দেয়। পরে আসামিরা এলাকা ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মোজারমেলের স্টার্ন হাউজিং এলাকার ডোবা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।