‘সন্দেহজনক আউট’ বিতর্কে মুখ খুললেন সাকিব
- টিডিসি স্পোর্টস
- প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩০ PM , আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ PM

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের ক্রিকেট থেকে ব্রাত্য সাকিব আল হাসান। তবে ঠিকই দেশের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখছেন সাবেক টাইগার দলপতি। টাইগার এই পোস্টারবয়ের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে। সেই সাক্ষাৎকারে গত কয়েকদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে আলোচিত ফিক্সিং বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন সাকিব।
মূলত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে স্বেচ্ছায় আউটের ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার পরই শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির ও রহিম আহমেদের নিষেধাজ্ঞা নিশ্চিত হয়ে গেছে। যদিও বিসিবি দুর্নীতি দমন বিভাগের (এসিইউ) তদন্তে দোষ স্বীকার করেননি তারা। এই ইস্যুটির দৃশ্য ‘পুনর্নির্মাণ’ করানোর ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন। সাকিবের দাবি, এভাবে পুনর্মঞ্চায়ন একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক।
সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আমি দেখেছি রিপোর্টে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়দের দিয়ে নাকি ফিক্সিং ইস্যুর ঘটনাটা রিক্রিয়েট করানো হয়েছে। আমি মনে করি, এটা একেবারে ননসেন্স। ফুটেজ দেখলেই বোঝা যায়, কী ঘটেছে। যারা ক্রিকেট বোঝে, তারা বুঝবে। খেলোয়াড়দের ডেকে এনে দৃশ্য বানিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইছে, আমি বুঝি না। অফিসিয়াল মিটিংয়ে বা জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্ন করা যেতে পারে। কিন্তু এভাবে অভিনয় করিয়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা কেন? আমি তো এতদিন ক্রিকেটের সঙ্গে আছি, তাহলে কি আমি পাগল? না ওরাই পাগল?’
সাকিবের মন্তব্য, তদন্ত যদি হয়, তাহলে সেটা পেশাদার ও বাস্তবসম্মত পদ্ধতিতে হওয়া উচিত। ক্রিকেটের মাঠে যা ঘটে, তার যথাযথ বিশ্লেষণ ভিডিও ও পরিসংখ্যান দেখেই করা যায়। তাই তদন্তে নাটকীয়তা আনা এক ধরনের অপেশাদারিত্ব, যা খেলোয়াড়দের সম্মানহানিকর।
গত ৯ এপ্রিল হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে দশম রাউন্ডে বিতর্কিত এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ফিক্সিং সন্দেহে পরদিনই তদন্তে নামেন এসিইউ কর্মকর্তারা। এরপর ১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিসিবি কার্যালয়ে মিনহাজুল-রহিমের সঙ্গে গুলশান ক্লাবের উইকেটরক্ষক আলিফ হাসান ইমনকেও ডাকা হয়েছিল। মিনহাজুলকে দ্বিতীয় সুযোগে স্টাম্পিং করেন তিনি। প্রথম চেষ্টায় বেলসে বল লাগাতে না পারায় ক্রিজের বাইরে অপেক্ষা করেন মিনহাজুল। ফলে, সময় নিয়ে আউট করার সুযোগ পান ইমন।
এই দৃশ্যের ভিডিও সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। কয়েকজন খেলোয়াড়ও সেই ভিডিও শেয়ার করেন। তবে ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুদলের কেউ কথা বলেননি। সাংবাদিকরাও মাঠে প্রবেশের অনুমতি পাননি।
এ প্রসঙ্গে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান ও অমিত মজুমদার জানান, এসব দেখা তাদের বিষয় না। পুরো পরিস্থিতিটাই সন্দেহ তৈরি করে ফিক্সিংয়ের। এই ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুললেন সাকিব।