কলেজশিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য লাগবে মৌলিক গবেষণা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৯ PM , আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৯ PM

শিক্ষাকে অন্যান্য সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। পাশাপাশি কর্মকর্তারা যাতে চাকরির সর্বোচ্চ গ্রেডে যেতে পারেন, সেই সুপারিশও করা হয়েছে। তবে কলেজ ও সমপর্যায়ে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বাধ্যতামূলকভাবে মৌলিক গবেষণা থাকতে হবে।
শুধুমাত্র পিএইচডিধারী অধ্যাপকেরাই ওপরের পদে যেতে অগ্রাধিকার পাবেন।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন শিক্ষার জনবলকাঠামো পুনর্গঠনের সুপারিশ করার পাশাপাশি বিদ্যমান ‘সিনিয়র সচিব’ পদবি বাদ দিয়ে এ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মুখ্য সচিব করার প্রস্তাব করেছে। গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কমিশনের প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী।
কমিশন বলছে, মানসম্মত শিক্ষক তৈরির জন্য সহযোগী অধ্যাপক পর্যায়ে পদোন্নতিতে অন্তত তিনটি মৌলিক গবেষণা এবং অধ্যাপক পদের জন্য অন্তত পাঁচটি গবেষণা বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশিত হতে হবে।
বর্তমানে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসির) মাধ্যমে বিসিএসের ২৬টি ক্যাডারে নিয়োগ হয়। এখন ক্যাডার বাদ দিয়ে কাজের ধরন অনুযায়ী ১৩টি সার্ভিসে বিভক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে তিনটি পিএসসি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তাছাড়াও প্রতিবেদনে বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারের পরিবর্তে ‘বাংলাদেশ শিক্ষা সার্ভিস’ নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের জনবল নিয়োগ, পদোন্নতির পরীক্ষা হবে পিএসসির (শিক্ষা) অধীনে।
সংখ্যার দিক দিয়ে সবচেয়ে বড় বিসিএস স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্যাডার। শিক্ষা ক্যাডারে প্রায় ১৬ হাজার কর্মকর্তা রয়েছেন। আর স্বাস্থ্য ক্যাডারের সদস্য ৩০ হাজারের বেশি। এই দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতিতে পিছিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ আছে। তারা যেতে পারেন সর্বোচ্চ চতুর্থ গ্রেড পর্যন্ত।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বলছে, শিক্ষার কর্মকর্তাদের নবম গ্রেড থেকে গ্রেড-১–এ পৌঁছানোর সুযোগসহ নিয়মিত পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখতে হবে। পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। অন্তত ৫ শতাংশ অধ্যাপককে জাতীয় বেতন স্কেলের দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। যারা পিএইচডি ডিগ্রিধারী এবং অধ্যাপক হিসেবে পাঁচ বছর চাকরি করেছেন, তারা দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নীত হবেন।