নারী কমিশনের প্রস্তাব হলো পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া: হেফাজত মহাসচিব
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০০ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৯ PM
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশর মহাসচিব শায়খ সাজিদুর রহমান বলেছেন, ‘নারী কমিশনের একটি প্রস্তাব হলো পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়া, যা একটি পশ্চিমা ষড়যন্ত্র। বাংলার মাটিতে এই পতিতাবৃত্তিসহ বহুত্ববাদী আইন চলতে দেওয়া যাবে না। যদি এই প্রস্তাবনা অনতিবিলম্বে বাতিল না করা হয়, তাহলে আগামী ৩ তারিখে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিলের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। মিছিলটি শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া এর সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
শায়খ সাজিদুর রহমান বলেন, ‘নারী আইন সংস্কার কমিশন উত্তরাধিকারে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা সরাসরি কুরআন বিরোধী। কোনো সরকার কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন পাশ করতে পারবে না, হেফাজতে ইসলাম ও উলামায়ে কেরাম থাকতে তা হতে দেওয়া হবে না।’
সাজিদুর রহমান আলেমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রায় ৩০০ মামলার দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ১৩, ২১ ও ২৪ এর গণহত্যার বিচার অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।’
ফিলিস্তিন ও ভারতে মজলুম মুসলমানের উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে সেটার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, এটা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। আর না হলে আমরা এই গণহত্যার প্রতিবাদে জিহাদের ডাক দিব। জিহাদ ছাড়া এদেরকে প্রতিহত করা যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মুবারকুল্লাহ বলেন, ‘কুরআনের একটি আইন বা আয়াতকে অস্বীকার করা মানে পুরো কুরআনকে অস্বীকার করা। আইন কমিশনের প্রস্তাবনায় কুরআনের বহু আয়াতকে অস্বীকার করা হয়েছে। যৌনকর্মীদেরকে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া অনৈতিক ও অগ্রহণযোগ্য। দুনিয়ার কোথাও এ ধরনের আইন নাই। কাজেই এ ধরনের আইন বাংলার মুসলমান কখনো মেনে নিবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘পশ্চিমা ও ইউরোপিয়ানদের সংস্কৃতি আমদানি করে মুসলমানদের পারিবারিক বন্ধন বিনষ্টের চেষ্টা চলছে। এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে নারী আইন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে, নতুবা হেফাজতে ইসলাম বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবে, যা সামাল দেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নাই।’