কাজ না করেই ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
- টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ PM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৭ PM

সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত ভবনসহ দুটি ভবনের সংস্কারের টেন্ডার আহ্বান করে কোনো কাজ না করেই প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। ৪৯ প্রকারের কাজ দেখানো হলেও টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে কোনো কাজের বিষয়ে অবগত নেই কলেজ কর্তৃপক্ষ।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের জরাজীর্ণ দ্বিতল একাডেমিক ভবন- ১ ও প্রশাসনিক ভবনের সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি কাজ এবং ক্রয়ের টেন্ডার আহ্বান করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। ২০২৪ সালের ৭ মার্চ টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ১৩ জুন মেসার্স নূর প্রকৌশলী নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় । কাজের মেয়াদ দেখানো হয় ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। সরজমিনে এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো কাজে হয়েছে এমন তথ্য মেলেনি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেওয়া কার্যাদেশে দেখা যায়, তরল হ্যান্ডওয়াশের দুটি খালি বোতলের মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। শুধু তা-ই নয়, প্রতিটি পানির ট্যাব ৯ হাজার, শাওয়ার মিক্সচার ৬ হাজার, ফ্যানের রেগুলেটর দেড় হাজার, ৫টি এসি স্থানান্তরে ৫০ হাজার, প্রতিষ্ঠানে না থাকা সত্ত্বেও ৮টি এয়ারকুলার মেরামতে ৩৩ হাজার আর রং করায় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা। এমন ক্রমিক গিয়ে ঠেকেছে ৪৯-এ।
আরও পড়ুন: খুবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বিকালে
কলেজটির ইলেকট্রিশিয়ান মো. আসলাম বলেন, ‘আমি প্রায় ৯ বছর এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। গত ৯ বছরের মধ্যে কলেজে কোনো এয়ারকুলার কেনা হয়নি। সেখানে মেরামতের তো প্রশ্নই ওঠে না।’
কলেজের নৈশপ্রহরী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমি কলেজ কম্পাউন্ডেই প্রায় ২৪ ঘণ্টা থাকি। ২০২৪ সালে কলেজের একাডেমিক ভাবন ও প্রশাসনিক ভবনে সরকারি কোনো কাজ হয়নি।’
তৎকালীন অধ্যক্ষ দুলাল কিশোর বর মুঠেফোনে জানান, তিনি অধ্যক্ষ থাকাকালীন প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে কোনো সংস্কার বা উন্নয়নকাজ হয়নি। শুধু হোস্টেলের আসবাব কেনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কুর্মিটোলা হাসপাতালে শয্যা-সংকট, বিড়ম্বনায় নতুন রোগীরা
সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তাহমিনা আকতার রোজি বলেন, ‘আমি কিছুদিন হলো যোগদান করেছি। টেন্ডারের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাদের কাছে এমন কোনো কাগজপত্রও নেই।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিভা সরকার বলেন, ‘এ কাজের সঙ্গে জেলা প্রশাসক এবং এসএসএফসহ বিভিন্ন দপ্তর জড়িত ছিল। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে পারব না।’