উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে এবার স্বস্তির ঈদযাত্রা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৬ AM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪০ AM

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা এবার অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কোথাও কোনো যানজট দেখা যায়নি। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমেছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের।
রাজধানী ঢাকা থেকে আসা যানবাহনগুলো পূর্বপাড় থেকে যমুনা সেতু পার হয়ে পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে স্বাভাবিক গতিতেই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতেও যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এমনকি খোলা মিনি ট্রাকে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।
পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, উত্তরাঞ্চলের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জ। এ জেলার ওপর দিয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আট জেলা ছাড়াও খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি জেলার গাড়ি চলাচল করে। দেশের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের ঢাকায় যাতায়াতের পথ যমুনা সেতু পশ্চিম সড়ক। প্রতি ঈদেই ঘরমুখো মানুষের চাপে এ মহাসড়কে তিন থেকে চারগুণ যানবাহন চলাচল করে।
অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় উত্তরের যাত্রীদের। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনা, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টিসহ নানা ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। তাই এ বছর ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ জেলার চারটি মহাসড়কে এক হাজার ৭০ জন পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। এর মধ্যে জেলা পুলিশ ৬৪৮, হাইওয়ে পুলিশ ৩২২ ও এপিবিএন ১০০ জন রয়েছে। এছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখাও মহাসড়কের সার্বিক নিরাপত্তায় রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, উত্তরবঙ্গের গেটওয়ে সিরাজগঞ্জে ৫৫ কিলোমিটার ন্যাশনাল হাইওয়ে রয়েছে। এছাড়া জেলার সবগুলো মহাসড়কেই ঈদে বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের ৬৪৮ জন নিয়োজিত রয়েছে। তারা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করবে। পোশাকধারী পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।
হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া রিজিওন) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের ৩২২ জন ও এপিবিএনের ১০০ জন নিয়োজিত রয়েছে। বিভিন্ন উড়াল সড়ক ও আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় মহাসড়কের অবস্থা অনেকটা ভালো রয়েছে। আশা করছি, উত্তরাঞ্চলের ঈদযাত্রা এবার স্বাভাবিক ও সুন্দর হবে।