নাটোরে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে বাবা-ছেলের মুখে তৃপ্তির হাসি

 সূর্যমুখীর ক্ষেত্র
সূর্যমুখীর ক্ষেত্র  © টিডিসি

নাটোরে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন মোসারফ হোসেন। ছেলেকে নিয়ে স্বল্প খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় বাবা-ছেলে এ ফুল চাষ শুরু করেন। সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে বাবা-ছেলের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। তাদের এ উদ্যোগ দেখে অনেকেই এখন সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

সূর্যমুখী বীজ থেকে উৎপাদিত তেলের বেশ চাহিদা রয়েছে। বাজারে এ ফুলের বীজের ভালো থাকায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এখন পদ্মার শুকনা ভূমিতে হৃদয়জুড়ানো সূর্যমুখীর সোনালির সমারোহ। হাজারো সূর্য যেন সবাইকে হাতছানি দিচ্ছে। এ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া মাহারাজপুর গ্রামে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে বাবা-ছেলের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। পদ্মা নদীর মাঝে জেগে ওঠা বালু মাটিতে এ যেন মরুভূমির মধ্যে হলুদের সমাহার। পতিত জমিতে স্বল্প ব্যয়ে অধিক ফলনে লাভবান হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। সূর্যের ঝলকানিতে হলুদ রঙে ঝলমল করছে সূর্যমুখী। এ অপরূপ দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক প্রকৃতিপ্রেমী ছুটে আসছেন পরিবার নিয়ে।

আরও পড়ুন: বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৫

তুষার ইমরান নামের আরেকজন বলেন, ‘সূর্যমুখী বাগানে ভালো সময় কাটল। বাগানে প্রবেশ করলেই মনে হবে হলুদের আভায় চারদিকেই যেন ছড়িয়ে আছে অপার মুগ্ধতা।’

এ বিষয়ে কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পদ্মার চরে বালু মাটির জমিতে ভুট্টার পাশাপাশি এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে কৃষি অফিস থেকে বীজ নিয়ে ১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছি। স্বল্প খরচে ভালো ফলন হওয়ায় আগামী বছর আরও ৫-৬ বিঘা জমিতে আবাদ করার পরিকল্পনা করেছি। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন বাগান দেখতে আসছে। ছবি-সেলফি তুলে তারাও খুশি হন, আমাদেরও ভালো লাগে।’

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পরীক্ষামূলকভাবে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, বীজ সংরক্ষণ ও তেল উৎপাদনে সহায়তাসহ চরাঞ্চলে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় বারি সূর্যমুখী-৩ জাতের ফসল এবারই প্রথম লালপুর উপজেলায় তিন বিঘা জমিতে আবাদ হয়েছে। মাত্র আড়াই মাসে ফলন ও স্বল্প খরচে অধিক ফলনে কৃষকদের মধ্যে এখন আশার আলো দেখাচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, ঢামেকে ভর্তি

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, ‘দেশে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে কৃষি বিভাগ থেকে সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং এবারই প্রথম উপজেলায় তিনজন কৃষককে পরীক্ষামূলক সূর্যমুখী চাষের জন্য বীজ দেওয়া হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আগামী দিনে পদ্মার চরাঞ্চলসহ উপজেলাজুড়ে সূর্যমুখী চাষ সম্প্রসারণ হবে বলে আশা করছি।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence