এ ছাড়া আবাসন নির্মাণ খাতেও গত এপ্রিলে শ্রমিকের চাহিদা যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি হয়। তখন এই খাতে ৮৯ হাজার ৯০০ মানুষের চাহিদা ছিল। এই সংখ্যা গত বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় প্রায় ৪৫ শতাংশ বেশি।
আলবার্টা ও অন্টারিও প্রদেশে গত বছর প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে বেকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২ দশমিক ৪ শতাংশ। তা কমে মার্চ মাসে নেমে আসে ১ দশমিক ২ শতাংশে। আরও কমে এপ্রিল মাসে হয় ১ দশমিক ১ শতাংশ।
আরেকটি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসে নোভা স্কটিয়া ও মানিটোবায় বাসাবাড়ি ও ফুড সার্ভিস খাতে ১ লাখ ৬১ হাজার করে শ্রমিকের চাহিদা ছিল।
এই পরিস্থিতির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কানাডার অল্পসংখ্যক মানুষ কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে চাইছেন। আর ৫৫ বছরের বেশি বয়সীরা অবসরে যাচ্ছেন। এসব কারণে এ বছর কানাডার শ্রমবাজারে অস্বাভাবিক শ্রমিকসংকট দেখা দিয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী বছরগুলোতে জন্ম নেওয়া প্রায় ৯০ লাখ কানাডিয়ান এই দশকেই অবসরে যাচ্ছেন। এ কারণে চাকরির ক্ষেত্রে আরও বড় সংখ্যায় পদ খালি হচ্ছে।
সম্প্রতি আরবিসির করা এক জরিপে দেখা গেছে, এক–তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান আগেভাগেই অবসরে যাচ্ছেন। এ ছাড়া প্রতি ১০ জনের ৩ জন অবসরের কাছাকাছি চলে এসেছেন। করোনা মহামারির কারণে তাঁদের অবসরে যেতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। অপর দিকে ২০২০ সালে কানাডায় সবচেয়ে কম জন্মহার ছিল।