ঢাকার বাইরে হবে না প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ০৩:০৯ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২২, ০৩:৪৭ PM
এবার প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র বিভাগীয় শহরগুলোতে হচ্ছে না। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরে এ পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে অধিদপ্তর। এজন্য মহানগরের বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কতজন পরীক্ষার্থী বসতে পারবে তার কক্ষভিত্তিক সংখ্যা জানানোর জন্য অনুরোধ করে একটি চিঠি দিয়েছে অধিদপ্তর। সেই চিঠির একটি কপি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের হাতে এসেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী এপ্রিল মাসের ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টা/বিকাল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় সহযোগিতা প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হলো। আপনার প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ কতজন পরীক্ষার্থীর আসনের ব্যবস্থা করা যাবে তার কক্ষভিত্তিক সংখ্যা আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে জমা দেয়ার অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এপ্রিলের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া শেষে উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু ১ এপ্রিল
সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ২ লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন আবেদন করেছেন। এরপর রাজশাহীতে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৩০ জন, খুলনায় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৬ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬ জন, বরিশালে ১ লাখ ৯ হাজার ৩৪৪ জন, সিলেট ৬২ হাজার ৬০৭ জন এবং রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬ জন।