চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটার দাবিতে শাহবাগে অবস্থান

জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়
জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়  © সংগৃহীত

চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে দেশের বিভিন্ন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, রেলওয়ে, সিভিল এভিয়েশন ইউনিটসহ অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিরা অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল ও সংরক্ষণ, আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর, জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত আসন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ শতাংশ কোটা নিশ্চিতসহ সাত দফা দাবি জানান।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব মো. শফিকুল ইসলাম বাবু সাত দফা দাবি পেশ করে বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল ও সংরক্ষণ, আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিসহ চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুরক্ষা আইন পাস করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণি ও মর্যাদা নির্ধারণ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি বিক্রি না করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। জীবিত বা মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে অন্তত ৫০টি সংরক্ষিত আসন সৃষ্টি করতে হবে। জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদে দুই জন করে মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত সদস্য পদ সৃষ্টি করতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা বা তাদের সন্তানদের বাধ্যতামূলক সদস্য করতে হবে।

পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজ, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্রদের ভর্তি ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য ১০ শতাংশ আসন দিতে হবে। সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামালা, নির্যাতন ও তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসব দাবি না মানলে আগামী ১ মার্চ সারা দেশে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশে পদযাত্রা করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যরা।


সর্বশেষ সংবাদ