গবেষণার তথ্য, বেকার হতে পারে ৫৫ লাখ চাকরিজীবী

গবেষণার তথ্য, বেকার হতে পারে ৫৫ লাখ চাকরিজীবী
গবেষণার তথ্য, বেকার হতে পারে ৫৫ লাখ চাকরিজীবী  © টিডিসি ফাইল ফটো

দেশের কয়েকটি সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটা সমস্যা হলো বেকারত্ব। বর্তমান করোনা মহামারীতে প্রকট আকার ধারন করছে এই সমস্যা। বিভিন্ন সংস্থার তথ্যমতে, বর্তমানেই দেশে বেকার দুই কোটি ৪০ লাখ। এ বছর শেষে এর সাথে যুক্ত হচ্ছে আরও ৫৫ লাখ মানুষ। কারন
৮টি সংস্থার গবেষণার তথ্যানুযায়ি করোনায় চাকরি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন ৫৫ লাখ মানুষ। ১১টি সেক্টরকে প্রাধান্য দিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানগুলো। গবেষণার ৮টি সংস্থা হলো- এটুআই, আইএফসি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউএনডিপি, ডব্লিউ আর এফ, লংকাবাংলা, লাইট ক্যাস্টল ও এশিয়া ফাউন্ডেশন।

গবেষণায় জানানো হয়, মহামারি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসা। বড় ব্যবসায়ীরা কোনো মতে টিকে থাকলেও মুখ থুবড়ে পড়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাত। মহামারিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত ৩৭ শতাংশ কর্মচারী কাজ হারিয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ৭০ শতাংশ কর্মীর চাকরি। অন্যদিকে বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন ২১ শতাংশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।

করোনার প্রথম ধাপে আর্থিক চাপ সামলাতে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে সরকার। যার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার কোটি রয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মাত্র ১৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকার বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণে অনিয়মের কথাও আলোচনায় হয়েছে সামাজিক মহলে। হিসাব অনুযায়ী, ৭৩ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজ। তারপরও ক্ষতি সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমানতের সুদহার এখন অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় কম। গত বছর এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেয় সরকার। এর আগেই ব্যাংকগুলো আমানতের সুদহার কমিয়ে আনতে শুরু করে। গত মে মাসে ব্যাংক খাতের আমানতের গড় সুদহার ছিল ৪.১৪ শতাংশ। অন্যদিকে বর্তমানে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১০ শতাংশের ওপরে রয়েছে। ফলে ব্যাংকের পুঁজি ভেঙে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে।


সর্বশেষ সংবাদ