প্রথমবারের মতো সরকারি ইন্টার্নশিপে নিয়োগ পেলেন ১০ জন

প্রথমবারের মতো সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টার্নশিপের সুযোগ চালু করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রথমবারের মতো সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইন্টার্নশিপের সুযোগ চালু করলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।  © সংগৃহীত

দেশে প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ চালুর মাধ্যমে ১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সোমবার (১ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সচিবালয়ে নিয়োগ পাওয়া ইন্টার্নদের কাজে যোগদান সংক্রান্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এর আগে বিগত বছর ‘ইন্টার্নশিপ নীতিমালা-২০২৩’ প্রণয়ন করে সরকার। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর বা পড়াকালীন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ সরকারি প্রতিষ্ঠানে ছিল না। শুধু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেই এ সুযোগ ছিল। নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকারি প্রতিষ্ঠানেও ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি করেছে সরকার। অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থাও ইন্টার্ন নিয়োগ দিতে পারবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আবেদন আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্ত্রণালয়ে ইন্টার্নশিপ করার জন্য ১ হাজার ৯৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বিভিন্ন ধাপে যাছাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ১০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন নারী এবং ৪ জন পুরুষ। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মনোনয়নপ্রাপ্ত ইন্টার্নদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হয়।

আরও পড়ুন: স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইন্টার্নদের উদ্দেশে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ হোসেন প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জনসেবকে পরিণত হওয়ার আহ্বান জানান।

ফরহাদ হোসেন বলেন, উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের মাধ্যমে দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার। এই ক্ষেত্রে নবীন ইন্টার্নরা সামনের দিনগুলোতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন আশা করি।

যোগদান করাদের ইন্টার্নশিপ কার্যক্রম আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী তিন মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করে সংশ্লিষ্টরা নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নের চেষ্টা করবেন। তবে তাদের এ কার্যক্রম সরকারি কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ হিসেবে গণ্য হবে না।

ইন্টার্নশিপ কার্যক্রমের এ সূচনাকে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইন্টার্নদেরকে নিবিড় মনোযোগ ও আগ্রহের সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের দক্ষ ও যোগ্য জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধান, সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট), অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও অন্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ