দারুল ইহসানের সনদধারী ৩ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট  © ফাইল ফটো

দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের গ্রহণযোগ্যতা ও এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আদেশ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিটকারী তিন শিক্ষককে কেন এমপিওভুক্ত করা হবে না, তা জানতেও রুল জারি করেছেন। মামলার বিবাদীদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষকদের পৃথক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল জারি করেন। রিটকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন ও শাম্মী আক্তার। তাদের সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।   

এর আগে বিভিন্ন সময়ে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক ওঠে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির সনদধারীর চাকরিসহ বিভিন্ন পেশায় অন্তর্ভুক্তিতে জটিলতা তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথক পৃথক কয়েকটি রিট পিটিশনের পর ২০১৮ সালে রায় দেন হাইকোর্ট।

ওই রায়ে কয়েকটি নির্দেশনার পাশাপাশি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্তদের বিষয়ে তাদের স্ব স্ব কর্মস্থলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর সিদ্ধান্তের ভার অর্পন করা হয়।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট একটি অফিস আদেশ জারি করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল ইসলাম সাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভইর্নং বডি/ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। আর ওই সনদের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক/কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত সংক্রান্ত সব কার্যক্রম মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর গ্রহণ করবে।

কিন্তু পরদিন অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট ওই অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে আবার আরেকটি অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর ফলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত সনদধারীদের এমপিওভুক্ত সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

অথচ স্থগিত সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত একাধিকজনকে এমপিওভুক্তির সুবিধা দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে প্রতিকার চেয়ে তিন শিক্ষক হাইকোর্টে পৃথক রিট দায়ের করেন। রিটকারীরা হলেন- বরিশালের বানারিপাড়ার আকরাম হোসেন মনির, লালমনিরহাট কালিগঞ্জের ইশতিয়াক আহমেদ এবং রাজশাহী বাগমারার মো. আব্দুল মালেক।


সর্বশেষ সংবাদ