চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে ২ দিনব্যাপী বই বিনিময় উৎসব
- চবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ১১:৩২ AM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৯ AM
যান্ত্রিকতার এ শহরে নানা ধরনের উৎসব হলেও বই নিয়ে উৎসব খুব একটা চোখে পড়ে না। বছর জুড়ে একবার বই মেলা হলেও সেখানে বই বিনিময়ের সুযোগ নেই। বই বিনিময় ভিন্ন একটি উদ্যোগ। ঘরের কোণায় ধুলো জমে পড়ে থাকা বইয়ের বিনিময়ে অন্য আরেকটি বই নেওয়ার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগটি নিয়েছে ‘বইবন্ধু’ নামের একটি সংগঠন। নিজের পঠিত পুরাতন বইটি অন্যের সাথে না পড়া আরেকটি বইয়ের সঙ্গে বিনিময় করতে পারবে এতে।
শনিবার (৯মার্চ) দুই দিনব্যাপী এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ কে এম দাউদুর রহমান। জেসিআই ঢাকা অ্যাস্পিরেন্টসের সহ-সভাপতি এস এম আবিদ উর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল যুগে মানুষের মোবাইলের প্রতি আসক্তি বেড়েছে। তবে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা এখনো আছে। তাই যত বেশি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠবে, মোবাইল আসক্তি তত কমবে।
উৎসব ঘুরে দেখা গেছে, ১৬টি স্টলে আটটি বিভাগে সাজানো রয়েছে কয়েক হাজার বই। শিশুতোষ, উপন্যাস, কবিতা, ধর্মীয়, একাডেমিক, প্রবন্ধ ও অন্যান্য, গল্প ও কিশোর উপন্যাস, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং আত্মজীবনী সহ আটটি বিভাগে বই বিনিময়ের সুযোগ পাচ্ছেন বইপ্রেমীরা।
উৎসবে একজন বইপ্রেমী সর্বোচ্চ ১০টি বই বিনিময় করতে পারছেন। এর আগে মাঠে থাকা বুথে বই জমা দিয়ে একটি স্লিপ বা টোকেন নিতে হচ্ছে তাদের। এরপর টোকেন বা স্লিপটি নিয়ে নির্দিষ্ট বিভাগের টেবিল থেকে বই সংগ্রহ করতে পারছেন তারা।
উৎসবের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোছাইন জানান, উৎসবের প্রথমদিনে প্রায় সাত হাজার বই বিনিময় হয়েছে। প্রথম দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ উৎসব। দ্বিতীয় দিন রবিবার দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
২০২১ ও ২০২৩ সালের পর এ বছর তৃতীয়বারের মতো বই বিনিময় উৎসব করছে বইবন্ধু। আগের বছরগুলোয় ১২ থেকে ১৫ হাজার বই বিনিময় হয়েছে বলে জানান আয়োজকেরা।