খুকৃবি ভিসির ঈদ স্মৃতি

‘নতুন জামা হাতে না আসা পর্যন্ত প্রতিদিন দর্জির দোকানে যেতাম’

ড. মো. নাজমুল আহসান
ড. মো. নাজমুল আহসান  © সৌজন্যে প্রাপ্ত

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর আসে ঈদুল ফিতর। প্রতিটি মানুষের শৈশব ঘিরেই তার জীবনের অন্যতম সুন্দর ও অবিস্মরণীয় অধ্যায়। বিশেষ করে উৎসবের দিনগুলো যেমন—ঈদ, শৈশবকে আরও রঙিন করে তোলে। ঈদে শৈশবের স্মৃতি নিয়ে  কথা বলেছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) উপাচার্য ড. মো. নাজমুল আহসান।

ড. মো. নাজমুল আহসান শৈশবের ঈদ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ‘আগের ঈদের ক্ষেত্রে চাঁদ রাত খুবই উপভোগ্য ছিল। রাত জাগা হতো পরিবার-বন্ধুদের সাথে। সালামির বিষয়টা তেমন প্রচলিত ছিলো না। তবে বাবা-মায়ের কাছে টাকার প্রয়োজন হলে তারা স্বানন্দে দিতেন। কালের পরিক্রমায় সালাম গৌণ হয়ে যেনো সালামি-ই মুখ্য হয়ে গিয়েছে।

খুকৃবি উপাচার্য বলেন, আমাদের সময় ঈদ বা যেকোনো অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধেয় প্রবীণ যারা ছিলেন, তাদের কদমবুসি করা হতো। যদিও এই ধারা ক্রমান্বয়ে উঠে যেতে শুরু করেছে। খাবারের প্রসঙ্গে বলতে গেলে, মায়ের হাতে বানানো সেমাই সবচেয়ে প্রিয়। আর কুরবানীর ঈদের ক্ষেত্রে মাংস কাটায় দেরি হওয়াতে, কলিজা দিয়ে যেই চটজলদি যেই খিচুড়ি করা হতো সেটা খুবই পছন্দনীয় ছিল।

ঈদের নতুন জামা বানানো নিয়ে ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, জামা-কাপড়ের বেলায়, বানানো জামা-কাপড়ের সাথে অনুভূতিটা ভিন্ন ছিল। হাতে জামা না আসা আগ পর্যন্ত প্রতিদিন নির্দিষ্ট দর্জির দোকানে গিয়ে জামার খোঁজ নেয়া হত। অপেক্ষায় দিন কাটতো কিরকম হবে। খুলনায় বেড়ে ওঠাতে, ঈদের দিনে বন্ধুদের সাথে কোনো মোড়ের এক চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসে গল্পে, আড্ডায় সময় পার হতো।

তিনি বলেন, তখনকার সময়ে সোশ্যাল ক্যাপিটাল ছিল অনেক বড়। শৈশবের ঈদ আর এই বয়সের ঈদে স্বভাবতই অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই ঈদ উপলক্ষ্যে সামাজিকতা, বৃহৎ পরিবারের কথা চিন্তা করতে হয়, এলাকা কেন্দ্রিক সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য-সহযোগিতা করা হয়ে থাকে।

শেষে তিনি সকলের পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দময় হোক বলে সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence