নবীনদের বরণ করে নিল শেকৃবি ছাত্রশিবির 

ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ‘নবীনবরণ ও ইফতার ২০২৫’
ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ‘নবীনবরণ ও ইফতার ২০২৫’  © সংগৃহীত

শেরেবাংলা কৃষি  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের আয়োজনে ‘নবীনবরণ ও ইফতার ২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার  (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ন্যাশনাল আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী নাঈমের সঞ্চালনায় এই প্রোগ্রামটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহার প্রদানের মাধ্যমে বরণ করে নেয়া হয়। এরপর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে মুল প্রোগ্রাম শুরু হয়। প্রোগ্রামে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিবির সভাপতি আবুল হাসান।প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর  ড. আলী আফজাল ; ঢাকা মহানগর পশ্চিম সভাপতি এইচ এম সালাউদ্দিন মাহমুদ ; মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমরা সাম্য, ন্যায়বিচার দেখতে পাচ্ছি না। জুলাইয়ের পর ১৮৯টা ঘটনা, ৭২টা শিশু, নারী নির্যাতন ১১৭টা ঘটনা ঘটেছে। 

নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে শুধু বস্তুবাদী শিক্ষা দেয়া হচ্ছে যার ফলশ্রুতিতে শত আন্দোলনেও এ সমাজ থেকে কখনও নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমবে না। সমাজের মোরাল স্টান্ডার্ড নির্ভর করে শিক্ষার উপর।
শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ৪ থেকে ৫ শতাংশ বিচার হয়, তাও কিছুদিন পর তারা মুক্ত বাতাসে বের হয়ে আবার আগের মতো বিচরণ করছে।

১৯৭৭ সাল থেকে শিবিরের ব্যাপারে খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি এসবের ১টাও উদাহরণ নেই। তবে রগকাটার মতো মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে একটা নেরেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন মানুষ সচেতন। শিবিরের কারিকুলাম এবং আদর্শ বর্তমান প্রজন্মকে আকর্ষন করছে।

আছিয়াকে কোন রাজনৈতিক ব্যাক্তি ধর্ষণ করেনি, করেছে তারই কাছের আত্মীয়রা। পশ্চিমাদের থেকে ধার করা শিক্ষা কারিকুলাম এবং সংস্কৃতি চর্চা আমাদের সমাজে লম্পট শিক্ষক, ছাত্র, আত্মীয় জন্ম দিচ্ছে। ছাত্রশিবির এর বিপরীতে শিক্ষার্থীদের দক্ষ এবং নৈতিকভাবে উন্নত মানুষ তৈরীর জন্য কাজ করছে।

নারী শিক্ষা নিয়ে এই শিবির নেতা বলেন,ইসলাম নারীদের ঘরে আটকে রাখে না। ইসলাম নারীদের যথেষ্ট মর্যাদা দিয়েছে। আমরা অনেকে মনে করি ইসলাম নারীকে শিক্ষা গ্রহণে বাধা দিবে, ভার্সিটি পড়তে দিবে না, কাজ করতে দিবে না। এসব ভুল ধারণা। অথচ রাসুলের যুগেও নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, সমাজে কন্ট্রিবিউট করেছেন।

বিদ্যাপিঠগুলোতে শিবিরের কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, হল দখল ও টেন্ডারবাজির উদাহরণ নেই। এসব আমাদের আদর্শে নেই।


সর্বশেষ সংবাদ