সিকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আওয়ামীপন্থীরা
- সিকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:২৩ PM , আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩১ PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ (গশিপ) মনোনীত প্যানেল। নির্বাচনে বিএনপিপন্থী সাদা দলসহ অন্য কোন দল অংশগ্রহণ না করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পায় আওয়ামীপন্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকাল পাঁচটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জীতেন্দ্র নাথ অধীকারী সিকৃবির গশিপ মনোনীত প্যানেলের ১১ জন প্রার্থীকে ১১টি পদে জয়যুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৃষি অনুষদের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজননতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ভেটেরিনারি অনুষদের রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আল মামুন।
কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে সহ-সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ড. আনজুমান আরা, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ড. অসীম সিকদার এবং যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে ড. কাজী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. মো. শাহ্ আলমগীর, ড. মো. মোশাররফ হোসেন সরকার, ড. তন্বী দে, মো. জানিবুল আলম সোয়েব এবং ডা. মো. মাসুদ পারভেজ।
নতুন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ ছফি উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই বঙ্গবন্ধু আদর্শের পরিচালিত শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদসহ সকল শিক্ষকদের প্রতি। আমি আমার এই দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করব। সিকৃবিকে শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকদের সহায়তায় এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক কাজ করে যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে সদা কাজ করে যাব।
নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আল মামুন বলেন, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকগণের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিসমূহ প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাব, সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকব।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকলেও আওয়ামীপন্থী দল ব্যতীত অন্য কোনো দল মনোনয়নপত্র জমা দেয়নি। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার আওয়ামীপন্থী গশিপ মনোনীত ১১ জন প্রার্থীকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।