বাকৃবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

বাকৃবি এর লোগো এবং ছাত্রলীগের লোগো
বাকৃবি এর লোগো এবং ছাত্রলীগের লোগো  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) আবাসিক দুই হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ নাজমুল আহসান হল ও শামসুল হক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে সমস্যার সমাধান করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত ১টার দিকে শহীদ নাজমুল আহসান হলের (সভাপতি হল) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে শহীদ শামসুল হক হলের (সাধারণ সম্পাদক) কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। এ সময় হল গেটের সামনে নাজমুল আহসান হল ছাত্রলীগ ও শহীদ শামসুল হক ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা রড, রামদা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে সংঘর্ষে সাধারণ সম্পাদক অনুসারীদের হল আশরাফুল হক হল ও শহীদ জামাল হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাকৃবির একজন শিক্ষার্থী বলেন, বাউ মিউজিকাল রেজিমেন্টের নতুন কমিটি গঠনের পর অনেকের মধ্য অসন্তোষ দেখা দেয়। যারা গান নিয়ে কাজ করে তাদের অনেকের কমিটিতে রাখা হয়নি। কমিটির পদ পাওয়া নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনা দুটি হলের মধ্যে সংঘর্ষে মোড় নেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে মিউজিকাল রেজিমেন্টের গত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান নিয়ন আঘাতপ্রাপ্ত হয় বলে জানা যায়। তবে এ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আবসার তূর্যকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও কিছু জানেননা বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. শফিকুর রহমান শিশির বলেন, রাতের বেলা ঘটনা ঘটায় আমরা তেমন কিছু জানতে পারিনি। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ঘটনা ঘটেছে। রাতের বেলা আমরা সহকারী প্রক্টররা কেউই ক্যাম্পাসে ছিলাম না। রাত ২ টার সময়ে থাকার কথা না। আমরা সহকারী প্রক্টর যারা আছি কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকে থাকি না। আমরা সবাই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ঘটনা ঘটলে আমাদের আসতে সময় লাগে। বিষয়টির সমাধানে তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হয়ে বিষয়টি সমাধান করেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, দুই বন্ধুর ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল এটি। দুই বন্ধু দুই হলের হওয়ার কারণে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে দুই হলের মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। রাতে আমি এবং সেক্রেটারি মেহেদি গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়ে আসি।


সর্বশেষ সংবাদ