প্রতিবন্ধী সেজে সাহায্যের নামে সিকৃবিতে অভিনব প্রতারণা

  © টিডিসি ফটো

বধির সেজে এসে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কক্ষে কক্ষে গিয়ে চাইতো সাহায্য। কারো কাছ থেকে ১০০ টাকা, কারো কাছ থেকে ৫০০ টাকা তুলে দানকারী ব্যক্তিদের নাম ও টাকার অংকটি লিখে রাখতো সিলেট বধির সংঘ নামক প্রতিষ্ঠানের প্যাডে। কক্ষ থেকে বের হয়েই বদলে দিতো টাকার অংক। কলমের নিখুত টানে ১০০ টাকা হয়ে যেতো ১০০০ টাকা কিংবা ২০০ টাকা হয়ে যেতো ২০০০ টাকা।

পরবর্তীতে অন্য শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে যখন তারা সাহায্য চাইতো তখন পূর্ববর্তী শিক্ষক বা কর্মকর্তার দেয়া টাকার অংক সম্বলিত কাগজটি দেখিয়ে তারা আরও বেশি পরিমান চাঁদা দিতে আর্জি করতো। এমনি এক প্রতারক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ক্যাম্পাসে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে প্রতারণা করার সময় এই চক্রের তিন সদস্যকে পাকড়াও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলামসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের প্রতারনার কথা শিকার করেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা। এই চক্রের একজন নারী ও ৪ জন পুরুষসহ মোট পাঁচ সদস্য আছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। বধির সংঘের নামে চাঁদা তোলা তিন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম লিখতে বলা হলে তারা সেটা লিখতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়াও প্রথমে লিখতে জানেনা বললেও চাপ প্রয়োগের ফলে তারা নিজেদের নাম কাকুলী, সাইফুল হক এবং ইমতিয়াজ কামরান বলে লিখেছেন।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই সিকৃবি ক্যাম্পাসে ২৭০ জন বোবা ছেলে ও ৫০ জন প্রতিবন্ধীদের খেলার সরঞ্জামাদি ও সেলাই যন্ত্র কিনে দেয়ার সাহায্য চেয়ে টাকা তুলছিলো তারা। জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে বধিরের মতো অভিনয় করলেও পরবর্তীতে বিপদ আঁচ করতে পেরে আর কখনো এমন অন্যায় করবেনা বলে ক্ষমা চান তারা। ভবিষ্যতেও এমন কাজ না করার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম  বলেন, তাদের প্রতারণার বিভিন্ন আলামত আমরা ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক অনুদানের বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত।


সর্বশেষ সংবাদ