এপিএ মূল্যায়নে পাঁচ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়   © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) মূল্যায়নে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৩৩তম অবস্থানে রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে সিকৃবির প্রাপ্ত নম্বর ৫২.১৩।

সম্প্রতি ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এপিএ মূল্যায়ণের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিকৃবির নম্বর ৫২.১৩ যা ২০২০-২১ অর্থ বছরের চেয়ে ৫.৪৪ নম্বর বেশি। এপিএ নম্বর বাড়লেও ৫ ধাপ পিছিয়েছে সিকৃবি। ২০২০-২১ অর্থ বছরে দেশের ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৬.৬৯ নম্বর নিয়ে সিকৃবির অবস্থান ছিল ২৮।

সিকৃবি এপিএ এর ফোকাল পয়েন্টের দায়িত্বে থাকা সিকৃবির পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ রোশন আলী বলেন, ‘দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। রাত ৮ টা ৯ টা পর্যন্ত কাজ করে যতটুকু সম্ভব প্রতিবেদন তৈরি করেছি। তিনি বলেন, সামনের অর্থ বছরে আমরা ভালো নম্বর পাবো আশা করছি, কিন্তু খুব বেশি উন্নতি করা যাবে না। তবে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিকৃবি বেশ ভালো অবস্থানে থাকবে বলে জানান তিনি।’

আরও পড়ুন: দুধ দিয়ে গোসল করে ছাত্রলীগ ছাড়লেন আরমিন 

অপরদিকে ৯৯.৪৭ নম্বর নিয়ে ২০২০-২১ অর্থ বছরের মত ২০২১-২২ অর্থ বছরেও সবার শীর্ষে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি)।

এপিএতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে ঐচ্ছিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে ৭০ নম্বর এবং আবশ্যিক কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহে ৩০ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।

এপিএতে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জন করলে অসাধারণ, ৯০ ভাগ অর্জন করলে অতিউত্তম, ৮০ ভাগ অর্জন করলে উত্তম, ৭০ ভাগ অর্জন করলে চলতি মান এবং ৬০ ভাগ অর্জন করলে চলতি মানের চেয়ে কম গ্রেড পাওয়া যায়। তবে কর্মসম্পাদন সূচকে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রকৃত অর্জন ৬০ ভাগের নিচে হলে এপিএতে গ্রেডের মান শূন্য ধরা হয়।

উল্লেখ্য, মূলত একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করা হয়। এর মাধ্যমে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত, সক্ষমতার উন্নয়ন, সব স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন সহজ হবে। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করে সে মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।