কৃষি গুচ্ছের নেতৃত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য উপাচার্যদের, ভাঙনের সুর

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ৯ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচ বছর টানা নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। তবে এ প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। তারা জানিয়েছে, রোটেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ না হলে শেকৃবি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে না। তারা স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ভিন্নমত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে এ গুচ্ছ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমন্বয় ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সঙ্গে এক আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বাকৃবির নেতৃত্বে আগামী পাঁচ বছর টানা কৃষিগুচ্ছ পরীক্ষা হলেই কেবল গুচ্ছতে থাকব। অন্যথায় বাকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে।’

আরো পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের ফল প্রকাশ হতে পারে ১৫ এপ্রিল

এ বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পর এক সংবাদ সম্মেলনে শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত করা। সেটি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে গুচ্ছের যৌক্তিকতা আর থাকে না। কৃষি গুচ্ছে রোটেশনাল নেতৃত্ব একটি প্রচলিত রীতি। আগেও আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি। এবছর বাকৃবি দিয়েছে। এই রীতি না মানলে আমরা গুচ্ছে থাকব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাকৃবি যদি এককভাবে পাঁচ বছর নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে আমরা গুচ্ছে যাব না। বরং শেকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে। তবে অন্য কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা আলাদা গুচ্ছ গঠন করতেও প্রস্তুত।’


সর্বশেষ সংবাদ