আমি রাত জেগে কখনো পড়িনি: মেডিকেলে প্রথম সুশোভন বাছাড়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১০ PM , আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ PM

এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার শিক্ষার্থী সুশোভন বাছাড়। ছোটবেলা থেকেই তার স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়বেন, চিকিৎসক হবেন। স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপে পা দিতে পেরে তিনি আনন্দিত। তবে তিনি কখনো ভাবেননি, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হবেন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি জানিয়েছেন তার সাফল্যের পেছনের গল্প।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে রবিবার (১৯ জানুয়ারি)। প্রকাশিত ফলাফলে সুশোভন বাছাড় সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৬ পেয়ে প্রথম হয়েছেন।
সুশোভন বাছাড়ের বাড়ি খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তার বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একজন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।
সুশোভন টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং খুলনা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পাস করেন। ফলাফল প্রকাশের পর থেকে তাদের বাড়িতে আনন্দের বন্যা বইছে। বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ তাদের বাড়িতে ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন।
সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’ তিনি বলেন, ছোট থেকে সুশোভন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ত।
সুশোভন বাছাড় বলে, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’
সুশোভন বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। দোয়া করবেন যেন ভালো ডাক্তার হতে পারি। কুয়েটেও চান্স হয়েছে।’
সুশোভনের মা বন্দনা সেন বলেন, ‘আমি শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর কেঁদে ফেলেছিলাম।’