ডিমবাহী পিকআপ ডাকাতির চেষ্টা করে ধরা

ডকাত সদস্যরা
ডকাত সদস্যরা   © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর এলাকা থেকে ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের একটি দল। 

গ্রেপ্তাররা হলেন— ডাকাত সরদার মূসা আলী (৪০), নাঈম মিয়া (২৪), শামিম (৩৫), রনি (২৬), আবু সুফিয়ান (২০) ও মামুন (২৪)।

র‍্যাব জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডাকাতদলের পরিকল্পনা ছিল ডিমবাহী ট্রাক বা পিকআপ ছিনিয়ে নেবে। তারা দিনের বেলায় বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি করতেন আর রাতে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপে ডাকাতি করতেন। যাত্রীবাহী বাস দিয়ে তারা ট্রাক-পিকআপ আটকে এক বছরে অন্তত ৬-৭ বার ডাকাতি করেছেন।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় একটি ডিমবোঝাই পিকআপের গতি রোধ করে র‌্যাব। পিকআপ থেকে পালানোর সময় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্ন আচরণ প্রকাশ পাওয়ায় তল্লাশি করে একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা একটি বাস চালিয়ে পিকআপের পিছু নেয়। একপর্যায়ে পিকআপটির সামনে রাস্তা আটকে চালক ও তার সহকারীকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিকআপটি নিয়ন্ত্রণে নেয়। চালক ও তার সহকারীকে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে মারধর করে বাসে উঠিয়ে নেয়। এরপর ডাকাত দলের সরদার মূসা ও তার প্রধান সহকারী নাঈম পিকআপটি নিয়ে গাউছিয়া-মদনপুরমুখী রাস্তায় নিয়ে যায়। ডাকাত দলের বাকি সদস্যরা পিকআপের চালক ও হেলপারকে বাসে করে মদনপুরের দিকে নিয়ে যায়।’

আরও পড়ুন : পরীক্ষা হলে জালিয়াতি, মিলল ৬টি জাতীয় পরিচয়পত্র

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাকাতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে বাসটি জব্দ করা হয়। এ সময় বাস থেকে ডাকাতদলের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করাসহ উদ্ধার করা হয় পিকআপের চালক ও সহকারীকে। এ সময় বাসের জানালা ভেঙে ৪/৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মূসার নির্দেশে প্রথম গ্রুপটি বিভিন্ন গার্মেন্টসের পণ্যবাহী ট্রাক ও পণ্যবাহী যানবাহন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় দলটি বাস নিয়ে মহাসড়কে সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করে ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করে। তৃতীয় দলটি ডাকাতি করা পণ্য বিক্রি করার জন্য নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায়। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িটি পরে রং পাল্টে সুবিধাজনক স্থানে বিক্রি করে দেয়, অথবা গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দেয়।’

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া মূসা ১০-১২ বছর ধরে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছেন। মূসাসহ দলের সবার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবার ডাকাতিতে জড়ায়।’


সর্বশেষ সংবাদ