‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভুল সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে’

অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড টাইম দেয়ার বিষয়ে কোন ধরনের কর্ণপাত করেনি। শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক শিক্ষক সেকেন্ড টাইম দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। মেডিকেল কলেজে সেকেন্ড টাইম থাকে কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই। এটা হতে পারে না। এটা একজন শিক্ষার্থীর অধিকার। আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরা অনশনে যাব। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব।

রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মহিবুল ইসলাম দাউদ।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ পূরণের জন্য অতি দ্রুত দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: আলমগীরের পড়াশোনার জন্য বিক্রি করেছিলেন জমি, চাকরির খবরে খুশি মা-বাবা

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কাপাসিয়া কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ বিল্লাহ বলেন, আমাদের কোন দাবি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মেনে নেয় নি। আমরা চাই আমাদের আর একবার সুযোগ দেয়া হোক। ইউজিসি, শিক্ষামন্ত্রী এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক আমাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। এটা আমাদের অধিকার। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। এটা বাংলাদেশে কেন থাকবে না। অতিদ্রুত আমাদের দাবি মেনে নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

সাইফুল ইসলাম বলেন, একবারে একজন শিক্ষার্থীকে কোনভাবেই বিচার করা যায় না। তার মেধাকে কাজে লাগাতে আরো একবার সুযোগ দেয়া উচিত। অনেকের ইচ্ছা থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। কিন্তু পৃথিবীর বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে যেগুলোর অবস্থান ৫০০ এর ভিতরে। আমরা চাই আমাদের এই ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া হোক।

আরও পড়ুন: ‘কাউকে শিক্ষাবঞ্চিত করার এখতিয়ার সরকারের নেই’

চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়া ইলিয়াস মাহিন বলেন,পৃথিবীতে বড় বড় যেসব বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সবগুলোতেই সেকেন্ড টাইম আছে। শুধু আমাদের দেশেই নাই। যা চরম বৈষম্যমূলক। ২০২০ ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে পরিবার, সমাজ থেকে কতটা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমদের অধিকার ফিরিয়ে দিন। ঢাবিসহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিন।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর ঢাবি কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া ঢাবি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ