জালিয়াতি করে উত্তীর্ণ, চবি ২ ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল
- জানে আলম, চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১৮ PM , আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:৪৫ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি করে আশিক ও ফরহাদ নামে দুই ভর্তিচ্ছু চান্স পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল রবিবার সভা ডেকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সভায় দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে চবি প্রশাসন অবগত আছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আগামীকাল রবিবার এ নিয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার সময়ে জালিয়াত চক্রের একজন আটক হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, জালিয়াতি করে জাবিতে চান্স পাওয়ার পর বুধবার (০১ ডিসেম্বর) সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন মোস্তফা কামাল উৎস নামে ভর্তিচ্ছু। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ থেকে আটক করা হয়। মোস্তফাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে চবিতে জালিয়ালি করে চান্স পাওয়া আশিক ও ফরহাদের কথা জানায়। সম্পর্কে তারা সবাই বন্ধু।
পড়ুন: দুই ভর্তিচ্ছুর বিষয়ে অবগত চবি, আলোচনা করে সিদ্ধান্ত
এদিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে চান্স পাওয়া দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য চবি প্রশাসনকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তার মাধ্যমে জানানোহ হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জালিয়াতি করে চান্স পাওয়া অভিযুক্তদের বিষয়ে চবি প্রশাসনকে জাবি আইন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো হয়েছে। আশা করি চবি প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করবেন।
ঘটনার চার দিনেও দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ দেখা না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে ভর্তিচ্ছুদের পক্ষ থেকেও প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। মেধাতালিকায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর স্থান যথাক্রমে ৭৯তম (রোল ৪৪১৩৬৭) ও ২৪৯তম (রোল ৪১৬২৩১)।
তবে যেকোন বিষয়ে আলোচনা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না জানিয়ে ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, জালিয়াতিতে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এতে যাদের নাম উঠে এসেছে তাদের নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ভর্তি কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।