চীনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, তবে শর্ত জুড়েছে বেইজিং
- নিশাত তাসনিম জেসিকা
- প্রকাশ: ০২ মে ২০২৫, ০৪:২৩ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৪:৫৫ PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত কঠোর শুল্ক নীতির জবাবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাব বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে চীন জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক মাধ্যমে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করেছে। তবে চীন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে- আলোচনায় বসতে হলে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপসহ 'ভুল পদক্ষেপ' থেকে সরে আসতে হবে এবং আন্তরিকতা দেখাতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসন চীনের রপ্তানি পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়, যার প্রভাব পড়ে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে এই যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৩.৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২.৮ শতাংশ করেছে। অন্যদিকে জেপি মরগান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর মন্দার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ।
বেইজিংভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গেভেকাল ড্রাগোনমিকসের উপ-পরিচালক ক্রিস্টোফার বেডোর মনে করেন, চীন আলোচনায় প্রস্তুত, তবে তারা প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতেও প্রস্তুত। তিনি বলেন, চীনের হাতে আরও অনেক অস্ত্র রয়েছে। তারা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, মার্কিন কোম্পানির ওপর তদন্তসহ নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। তবে তারা চায় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে বলেন, ‘চীনের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা এখন আলোচনায় বসতে চায়।’ একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের উপর নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানান।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক হতে পারে। তবে এখনই একে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা বলা যাবে না।