রাবিতে ছাত্রীদের নামাজের জায়গা নিয়ে ভোগান্তি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৭:২২ PM
ক্যাম্পাসে নামাজের সুব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তীতে পরেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রীরা। ফলে এমন সমস্যার সমাধান চেয়ে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের কাছে দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- ছাত্রীদের জন্য রাবি ক্যাম্পাসে একটি কেন্দ্রীয় নামাজের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, যা বহিরাগত বোনদের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০০ জন একসাথে নামাজ পড়ার মত জায়গাটি হতে হবে। সেন্ট্রাল মসজিদের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে অথবা ছাত্রীদের সুবিধানুযায়ী প্রশাসনের পছন্দমত কোনো জায়গায় এবং একাডেমিক ভবনগুলোতে ছাত্রীদের কমনরুমে নামাজ ও অযুর সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
স্মারকলিপিতে ছাত্রীরা উল্লেখ করে বলেন, রাবির মোট শিক্ষার্থীর শতকরা প্রায় ৪০ ভাগ শিক্ষার্থীই ছাত্রী এবং মুসলিম সংখ্যারিষ্ট। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নামাজের সুব্যবস্থা নেই। একাডেমিক ভবনগুলোতে ছাত্রীদের জন্য বিদ্যমান কমনরুম, ওয়াশরুম ও নামাজঘরগুলোর সংখ্যা খুবই অপ্রতুল এবং সংস্কার জরুরি। অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে নামাজের ব্যবস্থা নেই। অল্পসংখ্যক ডিপার্টমেন্টে ব্যবস্থা থাকলেও নামাজ ও অযুর সুব্যবস্থা নেই এবং বিকেল ৫টার পর রুমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ছাত্রীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট সংকীর্ণ এবং ছুটির দিনগুলোতে লাইব্রেরী বন্ধ থাকায় ছাত্রীদের সেই সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হতে হয়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণে আসলে নামাজের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সেইসাথে, ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নামাজের ব্যবস্থাপনার অভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দেশের একটি স্বনামধন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নামাজের ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি। ফলে আমরা আশাবাদী হতে চাই যে, ছাত্রীদের নামাজের সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থাপনা অতীব জরুরি। সুতরাং, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, ছাত্রীদের কল্যাণার্থে এবং নামাজের সমস্যা নিরসনে উপরিউক্ত সমস্যাসমূহ বিবেচনাপূর্বক যতদ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিনীত অনুরোধ জানচ্ছি।
দাবির প্রেক্ষিতে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি একাডেমিক ভবনগুলো ঘুরে দেখব। এরপরে ভবনগুলোতে কোনো রুম ফাঁকা করে সে রুমে নামাজের ব্যবস্থা করা যায় কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করব।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে নামাজের জায়গার করে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে প্রতিটি একাডেমিক ভবনে ব্যবস্থা করা হবে। আর আমরা ছাত্রীদের জন্য তাদের হলগুলোর দিকে একটি সেন্ট্রাল মসজিদ করে দেওয়ার চিন্তা করছি। শীঘ্রই এ বিষয়ে আমরা বসব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।