‘ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে ঢাবির শতবর্ষে আছে নানা অভাব-অভিযোগও’

‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ উদযাপন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা  © সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস-ঐতিহ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যাগুলোও গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। এতে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আজ শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনস্থ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের কনফারেন্স রুমে ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির সভাপতি এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।

এ কে আজাদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষে যেমন ইতিহাস-ঐতিহ্য আছে, তেমনি নানা অভাব-অভিযোগও আছে। বিভিন্ন হলের আবাসিক সমস্যা, গবেষণার ঘাটতি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে। এসব সমস্যা সমাধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন’ কাজ করে যাবে।

“অতীতে টিএসসির আধুনিকায়ন এবং সেন্ট্রাল লাইব্রেরী আধুনিকায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অবদান রেখেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছে এরকম ১০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বীকৃতি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন।”

মতবিনিময় সভায়  দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক প্রফেসর গোলাম রহমান, গাজী টিভির বার্তা প্রধান সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা‌, ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম, নিউজ টোয়েন্টিফোরের বার্তা প্রধান রাহুল রাহা, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, দৈনিক সমকালের শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়, চ্যানেল আইয়ের শাইখ সিরাজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্পাদক, সিইও এবং বার্তা সম্পাদকবৃন্দ।

মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সাবেক শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিশ্ব র‌্যাংঙ্কিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দিন দিন অবনতি হচ্ছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংঙ্কিংয়ে গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ জন্য গবেষণাখাতে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অবদান রাখতে হবে। কেননা সরকার একা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারবে না। অ্যালামনাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।

তারা বলেন, ফান্ড গঠনের দিকে অ্যালামনাইয়ের নজর দেওয়া উচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তারা চাইলেই অন্তত ১০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড সহজেই গঠন করতে পারেন। এই ফান্ড থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সহায়তা, অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয় করা যেতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ