ঢাবি অধ্যাপক জিনাত হুদাকে ঘিরে ফের উত্তেজনা 

 অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা  © ফাইল ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানের পরে শিক্ষার্থীদের দ্বারা বয়কট হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদার বিভাগে ফেরাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) আইরিন সুলতানা নামের বিভাগের এক শিক্ষার্থীর পিএইচডি গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ও থিসিস পরীক্ষক প্যানেলে জিনাত হুদার নাম থাকায় এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনার সুষ্ঠু ব্যাখ্যার দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীদের। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হুঁশিয়ারি তাদের।

এর আগে গত মার্চ মাসে এমন অভিযোগে উত্তেজনা তৈরি হয়। তখন শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং ওই শিক্ষকের কক্ষে তালা জুলিয়ে দেয়। 

সম্প্রতি এক নথিতে দেখা যায়, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধীনে আইরিন সুলতানা নামের এক শিক্ষার্থীর "Empowerment of Rural Women Entrepreneurs though Small and Medium Enterprise (SME): A Sociological Analysis" শীর্ষক থিসিস সম্পন্ন করেছেন। এ রচনায় শিক্ষার্থীর তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রফেসর ড. জিনাত হুদা। ওই শিক্ষার্থীকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের সুপারিশ করেন তিনি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকার পরও ড. জিনাত হুদার পিএইচডি তত্ত্বাবধান এবং পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তকে সরাসরি লঙ্ঘন করার শামিল। যাদের সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হয়েছে, তাদের পুনর্বাসনের এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এসব আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের এই ধরনের অপচেষ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের পবিত্রতা নষ্ট করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করছে। অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। অন্যথায় অনির্দিষ্টকাল ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের  সিন্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবালকে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের মুখে ড. জিনাত হুদাসহ বিভাগের ছয়জন শিক্ষককে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ