স্নাতকোত্তরের ফল প্রকাশ হলে ডাকসুর ভোটার ও প্রার্থী না করার প্রস্তাব ছাত্রদলের

ডাকসু নির্বাচন
ডাকসু নির্বাচন  © টিডিসি ফটো

নিয়মানুযায়ী কোনো শিক্ষার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ফলাফল প্রকাশিত হলে তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা শেষ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাবি শাখা। তাদের লিখিত প্রস্তাবনায় সেটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ না থাকলেও পরবর্তীতে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের কাছে বিষয়টি খোলাসা করেন খোদ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের জন্য ৩৭৭টি প্রস্তাবনা দিয়েছে ছাত্রদলের ঢাবি শাখা।

প্রথম ধাপে উল্লেখ করা হয়, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ নির্বাচনে 'ভোটার ও প্রার্থী' হওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা সুনির্দিষ্টভাবে ৩০ বছর না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের 'ভোটার ও প্রার্থী' হওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব করেছে ছাত্রদল।

প্রস্তাবনায় আরো উল্লেখ করা হয়, আমাদের মতে নিয়মিত ছাত্রত্বের বিস্তারিত সংজ্ঞায়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের, বিশেষ করে অ্যাকাডেমিক বডির সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এক্ষেত্রে ডাকসুর গঠনতন্ত্রে নির্দিষ্ট বয়সসীমা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে চায় না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সেক্ষেত্রে কারা নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য হবে সে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো প্রোগ্রাম, যেমন এমফিল কিংবা সান্ধ্যকালীন কোর্সে ভর্তি থাকলে কোনো শিক্ষার্থীকে প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার সুযোগ না দেওয়া শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের দাবি।

পরবর্তীতে নাছির উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের মতে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংজ্ঞা হলো নিয়ম অনুসারে সর্বোচ্চ ৬ বছরে স্নাতক ও ২ বছরে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। স্নাতকোত্তরের ফলাফল প্রকাশিত হলে তাকে আর নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য করা হবে না। 

প্রস্তাবনা তৈরিতে সার্বিকভাবে সহায়তাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, "ছাত্রদলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী মাস্টার্স এর রেজাল্ট হয়েছে এমন কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। ইভিনিং, এমফিল, পিএইচডি - কে নিয়মিত শিক্ষার্থী ধরা হবে না।"


সর্বশেষ সংবাদ