নতুন শিডিউলে চবির শাটল, সুবিধা বাড়বে ৭ হাজার শিক্ষার্থীর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও লোগো
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন ও লোগো   © টিডিসি ফটো

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনের শিডিউল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে প্রায় ৭ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী নতুন পরিবহণ সুবিধা পাবেন বলে আশা প্রশাসনের। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন শিডিউলে শাটল ট্রেন চালু হয়। এতদিন শাটল ট্রেনগুলো চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত দিনে ১৪ বার চলাচল করলেও এখন তা চলছে ১৮ বার।

শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর প্রধান বাহন এই শাটল ট্রেন। ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে শহরে ফেরা কিংবা অন্যান্য কাজে যাতায়াতের জন্য শিক্ষার্থীরা প্রধানত এই শাটল ট্রেনের ওপর নির্ভরশীল। ফলে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ এবং যানবাহনের স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো।

শাটল ট্রেনের বগি ও শিডিউল বৃদ্ধির দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে আসলেও এতোদিন তা বাস্তবায়িত হয়নি। তবে সম্প্রতি নতুন প্রশাসনের অধীনে এটি সম্ভব হয়েছে। শিডিউল বাড়ানোর ফলে শাটল ট্রেনের সুবিধা অনেকাংশে সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।  

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শাটল ট্রেন চালু থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে, কিন্তু শিডিউল বাড়ানো হয়নি। ডেমু ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা পরে বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর উদ্যোগী হয়ে শাটল ট্রেনের শিডিউল বাড়িয়েছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, নতুন শিডিউলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে সত্য, তবে আমাদের যেহেতু পূর্ব থেকেই টিউশনি ও ক্লাস একটা নির্ধারিত সময়ে হত এবং আমরা সেভাবে অভ্যস্ত ছিলাম। নতুন করে শিডিউল দেওয়াই এখন মিলিয়ে নিতে একটু সমস্যা হবে। 

ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী শিডিউল নিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ইতিপূর্বে দীর্ঘদিন শিডিউল বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলাম কিন্তু আমাদের দাবি কর্ণপাত করা হয়নি। ফলে অনেক ভোগান্তির শিকার হয়েছি আমরা। এমনকি আমাদের শিক্ষার্থীদের রক্তও ঝরেছে। নতুন শিডিউলে আপাতত কিছু সমস্যা মনে হলেও কিছুদিনের মধ্যে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাব এবং শাটল মানেই ভোগান্তি কথাটা হারিয়ে যাবে এটায় প্রত্যাশা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সাত জোড়া ট্রেনের পরিবর্তে নয় জোড়া ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর পরিবহণ সমস্যা লাঘব করবে। ডাবল লেইন থাকলে আরও সুবিধা হতো, তবে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেন চলাচল বিবেচনায় রেখে এই শিডিউল দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিডিউল বৃদ্ধির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হবে, যা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে নতুন গতির সঞ্চার করবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence