মেস মালিকদের দৌরাত্ম্যে রাবির সুনাম নষ্ট হচ্ছে, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

রাবিতে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন
রাবিতে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন  © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার সময় মেস মালিকদের দৌরাত্ম্য ও আবাসন ব্যবসার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। রোববার (৩ মার্চ) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় মেস মালিকদের দৌরাত্ম্যে রাবির সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

সংগঠনটির সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, মেস মালিকসহ কিছু ক্ষুদ্রমনা শিক্ষক-শিক্ষার্থী আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আমরা চাই না আবাসন ব্যবস্থার নামে এ ঘৃণ্য ব্যবসা চালু থাকুক। অবিলম্বে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সব আবাসন ব্যবসায়ীকে বয়কট করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি গৌরবের জায়গা। কিন্তু সে জায়গাটি কিছু সুবিধাবাদীর কারণে আজ ধ্বংসের পথে। আবাসন ব্যবস্থা আর মেস মালিকদের দৌরাত্ম্যের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের নিকট আমাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষা করতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এসব ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরুন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম রেজার সঞ্চালনায় অনিক আহমেদ বলেন, আমাদের জন্য ইদ দুটি হলেও কতিপয় রাজশাহীবাসীর জন্য তিনটি। রোজার ইদ, কুরবানির ইদ ছাড়াও ভর্তি পরীক্ষা তাদের জন্য আরেকটি ইদ। তারা ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের রক্ত চুষে খায়। 

তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস মালিক থেকে শুরু করে রমরমা আবাসন ব্যবসা হয়। এর সঙ্গে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জড়িত। রাবি প্রশাসন যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব। মেস মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে সুষ্ঠু সমাধানে প্রশাসন ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশাবাদী।

আরো পড়ুন: রাবি ভর্তি: আজ থেকে ফের প্রবেশপত্র ডাউনলোডের সুযোগ

মেহেদি হাসান বলেন, বাংলাদেশে ৫০টির অধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবাসন ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নাম ছড়াচ্ছে। কিছু সুবিধাবাদীর জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা লজ্জিত হচ্ছে। আমরা সাময়িকভাবে তাদেরকে বয়কট করার মাধ্যমে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিন জোহরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে অনেক ভর্তি-ইচ্ছুক ও অভিভাবকরা দূর-দূরান্ত থেকে আমাদের ক্যাম্পাসে আসেন। মেস মালিকদের অসহযোগিতা ও আবাসন ব্যবসার কারণে তারা নানা রকম দুর্ভোগের শিকার হয়। মেস মালিকরা যেন অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ সময় সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ